নিজের চেনা অঙ্গন। নিজের চেনা সব মানুষ। অন্য দিনগুলোর মতো এদিনও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনে পা রাখেন তিনি। জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ১২তম রাউন্ড খেলা চলছিল। তিনিও খেলছিলেন গ্র্যান্ড মাস্টার এনামুল হোসেন রাজিবের বিরুদ্ধে। কিন্তু এখানে খেলতে খেলতেই চির বিদায়। খেলার সময় হঠাৎই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন গ্র্যান্ড মাস্টার জিয়াউর রহমান। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জিয়া (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ৫০ বছর বয়সে চলে গেলেন তিনি। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও এক ছেলে রেখে গেছেন এই তারকা দাবাড়ু।
শুক্রবার বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনে চলছিল জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার ১২তম রাউন্ডের খেলা। এখানেই এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে লড়ছিলেন জিয়া। ম্যাচটি চলার সময়ই হঠাৎ করেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সেখানে উপস্থিত সবাই দ্রুত রাজধানীর শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যান তাকে। হাসপাতালে নেওয়ার পরই ডাক্তার নিশ্চিত করেন হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এরপর চেষ্টাতেও লাভ হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃ-বিজ্ঞানে পড়া জিয়া দাবাকেই বেছে নেন ক্যারিয়ার হিসেবে। ১৯৮৮ সালে জাতীয় দাবায় প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন। ১৯৮৭ সালে আন্তর্জাতিক রেটিং লাভ করেন। ১৯৯০ সালে ফিদেমাস্টার, ১৯৯৩ সালে আন্তর্জাতিক মাস্টার হন জিয়াউর রহমান। ২০০২ সালে দেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টারের খেতাব অর্জন করেন। নিয়াজ মোর্শেদের পর জিয়া দেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার। তার একমাত্র সন্তান তাহসিন তাজওয়ার দাবায় এসেছেন বাবার পথ ধরে।
দাবাড়ু গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের আকস্মিক মৃত্যুতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান এমপি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় মন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
Discussion about this post