ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
জাতীয় ক্রিকেট লিগে সেই একই দৃশ্যপট। তুষার ইমরানের ব্যাটে হাসি! আরো একবার নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। প্রথম রাউন্ডেই তিনি তুলে নিলেন জোড়া সেঞ্চুরি। প্রথম ইনিংসে খুলনা বিভাগের ২১০ রানের মধ্যে তার একারই ছিল ১০৪। আর দ্বিতীয় ইনিংসে তার দল খুলনা বুধবার তৃতীয় দিন শেষে তুলেছে ২ উইকেটে ১৮২ রান। এরমধ্যে তুষারের ব্যাটে অপরাজিত ১০০।
বেশ কয়েক বছর ধরেই ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছেন তিনি। সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরি তুলে ফের জাতীয় দলে ফেরার দাবী তুলছেন। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। বুধবার তুললেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ৩০ তম সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি একটি রেকর্ড।
এর আগে রাজশাহী বিভাগ প্রথম ইনিংসে করে ৫৫২ রান। জহুরুল ইসলাম অমি প্রথম সেশনেই তুলেন সেঞ্চুরির। শেষ পর্যন্ত ২৯০ বল খেলে ২০ বাউন্ডারিতে করেন ১৬৩ রান। সানজামুল ইসলাম করেন ৬৪ রান। খুলনার স্পিনার আফিফ হোসেন ৬৬ রানে ৭ উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
খুলনা ১ম ইনিংস: ২১০/১০ ও খুলনা ২য় ইনিংস: ৫৩ ওভারে ১৮২/২ ( তুষার ইমরান ১০০*, আনামুল হক বিজয় ৭২*)।
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ১৪৭ ওভারে ৫৫২/১০ ( মিজানুর ১১৫, ফরহাদ ৮৩, জহুরুল ১৬৩, সানজামুল ৬৪আফিফ হোসেন ৭/৬৬)।
################
নিশ্চিত ড্রয়ের পথেই এগিয়ে যাচ্ছে লড়াই। ম্যাচের তিনদিন শেষ হলেও চলছে প্রথম ইনিংসের খেলা। রংপুর বিভাগ আরিফুল হকের ডাবল সেঞ্চুরিতে করেছিল ৫০২ রান। এরপর বুধবার তৃতীয়দিন শেষে বরিশাল বিভাগের ৫ উইকেটে করেছে ৩৮৪ রান। শতরান করেছেন ফজলে রাব্বী মাহমুদ ও সোহাগ গাজী।
ফজলে রাব্বী ৩২৪ বলে ১৩০ রান নিয়ে অপরাজিত। সোহাগ গাজী ১৫৪ বলে ১৫ বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় সোহাগ গাজী ১২৮ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর ১ম ইনিংস: ১৪৫.২ ওভারে ৫০২/১০ (আরিফুল ২৩১, নাঈম ইসলাম ৯২, জাহিদ ৬২, সোহরওয়ার্দি শুভ ৪৫, সোহাগ গাজী ৩/১৪২, মনির হোসেন ৩/১২৮)।
বরিশাল ১ম ইনিংস: ৩৮৪/৫ (১১৯.১ ওভারে, রাফসান ৫৯, ফজলে রাব্বী ১৩০*, সোহাগ গাজী ১২৮, শুভাশীষ ১/৪০)।
Discussion about this post