সব ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরে শুরু হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের দ্বিতীয় আসর। গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা এই টুর্নামেন্ট এবার আরও বড় পরিসরে আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মাঠ প্রস্তুতি থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা, এমনকি শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি-সবখানেই আনা হচ্ছে কাঠামোগত পরিবর্তন।
এইবার খেলাগুলো হবে তিনটি ভেন্যুতে-বগুড়া, রাজশাহী ও সিলেট। লিগ পর্ব বগুড়া ও রাজশাহীতে, আর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে সিলেটে। বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান জানালেন, ‘আমরা চাই ক্রিকেট হোক সারা দেশে। তাই এবার চট্টগ্রামের পরিবর্তে বেছে নেওয়া হয়েছে বগুড়া, যেখানে উইকেটের মান তুলনামূলক ভালো।’
জাতীয় দল ব্যস্ত থাকবে এশিয়া কাপে, তাই মূল স্কোয়াডের তারকাদের পাওয়া যাবে না। তবে মাঠে থাকবেন তিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার-তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মুশফিক ইতিমধ্যে সিলেটের হয়ে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এই তিনজনের উপস্থিতি শুধু টুর্নামেন্টের আকর্ষণই বাড়াবে না, তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণাও হবে।
বিসিবি এবার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে উন্নত মানের উইকেট ও ম্যাচ পরিবেশ নিশ্চিত করার দিকে। বগুড়া ও রাজশাহীতে দিনে একটি করে ম্যাচ হবে, সিলেটে হবে রাতের ম্যাচ। মাঠের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গ্রাউন্ডসম্যান দলও যাচ্ছে বগুড়ায়। চট্টগ্রাম বাদ পড়েছে মূলত স্পোর্টিং উইকেটের অভাবে।
আকরাম খান বলেন, ‘আমরা চাই টি-টোয়েন্টির মতো ফরম্যাটে রানের খেলা হোক, দর্শক উপভোগ করুক। তাই ভালো উইকেট নিশ্চিত করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’
খেলোয়াড়দের সম্মানী বৃদ্ধির বিষয়টিও নজর কাড়ছে। ম্যাচ ফি বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে প্রত্যেক বিভাগীয় দল পাবে নিজস্ব হেলমেট ও খেলোয়াড় সরঞ্জাম। লক্ষ্য একটাই-ঘরোয়া ক্রিকেটে পেশাদার পরিবেশ তৈরি করা।
আকরাম খান বলেন, ‘অনেকে অন্য দলের হেলমেট পরে খেলে, আমরা এবার সবাইকে আলাদা আলাদা সরঞ্জাম দিচ্ছি। ক্রিকেটটা এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে সাপোর্ট করতে হবে।’
Discussion about this post