ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
দেশের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ফরম্যাটেই হারানোর স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। জিতে গেলেই ধরা দিতে ট্রেবল। কিন্তু হল না। প্রথমবারের মতো সিরিজের তিনটি সংস্করণেই জিততে পারল না বাংলাদেশ। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে জিতলেও টি-টুয়েন্টিতে এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে গেল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
শনিবার মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে বাংলাদেশ। অলিখিত ফাইনালে ঝুঁকি নিতে চাননি সাকিব আল হাসান। কারণ রাতে বল করাটা সহজ নয়। শিশির আতঙ্কের কথা ভেবে আগে বোলিং নিলেও খুব একটা লাভ হয়নি। বরং উল্টো হারই দেখেছে দল।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাটে করতে নেমে ১৯ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করে ১৯০ রান। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ ১৭ ওভারে ১৪০ রানে অলআউট। উইন্ডিজ ম্যাচ জিতেছে ৫০ রানে। ২-১ ব্যবধানে টি-টুয়েন্টি সিরিজ জিতেছে এই সংস্করণের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলটি।
তবে হারের সঙ্গে বাজে আম্পায়ারিংয়ের কলঙ্কও লাগল। ম্যাচে বাংলাদেশের আম্পায়ার তানভীর আহমেদের ভুলের দায় যদিও সাকিবদের নয়। কিন্তু এই ভুলের দায় বাংলাদেশের ক্রিকেটের। দুটি অন্যায় নো বলের পর আর কিছুই করতে পারল না দল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টি ম্যাচে মারাত্মক ভুল করেন আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। তার আম্পায়ারের ভুলে সিরিজের শেষ টি-টুয়েন্টিতে খেলা বন্ধ ছিলো ৮ মিনিট। ঘটনা বাংলাদেশ ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। ওসান থমাসের শেষ বলে লিটন দাস ক্যাচ তুলে দেন শিমরান হেটমায়ার হাতে। কিন্তু আম্পায়ার তানভীর জানান-এটি নো বল ছিল। যদিও টিভি রিপ্লেতে পরিস্কার দেখা যায় ওসানে থমাসের সেই বলটা নো বল ছিল না। পা পপিংক্রিজের মধ্যেই ছিল তার।
মাঠের বড় পর্দায় এটি দেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়রা আম্পায়ারের কাছে প্রতিবাদ জানাতে ছুটে আসেন। টিভিতে ওসানের সেই ডেলিভারি দেখানো হয়। স্পষ্ট হয় এটি নো বল নয়। ফিল্ড আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে ফেলায় কিচুই করার ছিল না। তারপরও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আম্পায়ারের কাছে ছুটে যান। চতুর্থ আম্পায়ার শরফুদৌল্লা ইবনে সৈকত ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক কার্লোস ব্রাথওয়েটের সঙ্গে কথা বলেন। বাউন্ডারি লাইনের দাঁড়িয়ে সমস্যার সমাধান করেন ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো।
এরপর আর কিছুই করতে পারেনি টাইগাররা। বরং বড় সংগ্রহের সামনে অসহায় আত্মসমর্পন করেছে। সেঞ্চুরিয়াম এভিন লুইসই ম্যাচসেরা। ৩৬ বলে ৮৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯.২ ওভারে ১৯০ (লুইস ৮৯, হোপ ২৩, পল ২, পাওয়েল ১৯, হেটমায়ার ০, পুরান ২৯, ব্র্যাথওয়েট ৮, রাদারফোর্ড ২, অ্যালান ৮, কটরেল ২*, টমাস ০; আবু হায়দার ০/৩৯, সাইফ ০/৩৬, মিরাজ ০/২৬, সাকিব ৩/৩৭, মুস্তাফিজ ৩/৩৩, মাহমুদউল্লাহ ৩/১৮)
বাংলাদেশ: ১৭ ওভারে ১৪০ (তামিম ৮, লিটন ৪৩, সৌম্য ৯, সাকিব ০, মুশফিক ১, মাহমুদউল্লাহ ১১, মিরাজ ১৯, আরিফুল ০, সাইফ ৫, আবু হায়দার ২২*, মুস্তাফিজ ৮; কটরেল ১/৩২, টমাস ০/৫৬, অ্যালেন ২/১৯, পল ৫/১৫, ব্র্যাথওয়েট ১/১৫)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫০ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা : এভিন লুইস
সিরিজসেরা: সাকিব আল হাসান
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ
Discussion about this post