দুঃ সময় পেছনে ফেলে নতুন করে জেগে উঠেছেন সাকিব আল হাসান। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে গত মাসেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফেরেন তিনি। সেখানে ব্যাট-বল দুটোকেই ম্যাজিক দেখান এই মহাতারকা। এরপর দেশের মাঠে সদ্য শেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও পেলেন সাফল্য। তার পথ ধরে এবার অনন্য এক স্বীকৃতি পেলেন সাকিব। ফের তিনি চলে এসেছেন টি-টুয়েন্টি অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে।
বুধবার র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। যেখানে বেশ এগিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমানও। টি-টুয়েন্টি বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ২০ ধাপ এগিয়ে মুস্তাফিজ উঠে এসেছেন সেরা দশ নম্বরে। অজিদের বিপক্ষে সদ্য শেষ সিরিজে ৭ উইকেট নেন তিনি।
মিরপুরে সদ্য শেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে বল হাতে একটা ম্যাচ ছাড়া প্রতিটিতেই দাপট ছিল সাকিবের। শেষ ম্যাচে ৩.২ ওভারে ১ মেডেন ও ৯ রানে নেন ৪ উইকেট। সব মিলিয়ে সিরিজে নেন ৭ উইকেট।
ই সাফল্যের পথ ধরে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১ হাজার রান ও ১০০ উইকেটের ডাবল পূর্ণ করেন সাকিব। বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার গড়লেন ইতিহাস।
বিশ্বের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টি-টুয়েন্টিতে একশ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। তবে এই ফরম্যাটে ব্যাটিংয়ে এক হাজার রান ও একশ উইকেট নেওয়ার যে কীর্তি গড়েন তা আর কারও নেই।
সব মিলিয়ে ৮৪ আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ম্যাচে সাকিবের সংগ্রহ ১৭১৮ রান। বল হাতে নিয়েছেন ১০০ উইকেট। এই ফরম্যাটে উইকেট শিকারির তালিকায় সাকিব দুই নম্বরে। ১০৭ উইকেট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা। ৯৯ উইকেট নিয়ে এরপরই টিম সাউদি। শহীদ আফ্রিদির উইকেট ৯৮টি।
এই সাফল্যে পেলেন র্যাঙ্কিংয়ে সুখবর। ২০১৭ সালের অক্টোবরের পর ফের টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠলেন সাকিব। দুইয়ে এখন আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি। দুজনের রেটিং পয়েন্টের ব্যবধান যদিও মাত্র ১। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেই আছেন সাকিব। টেস্টে আছেন পাঁচে রয়েছেন বাংলাদেশের এই তারকা ক্রিকেটার।
Discussion about this post