তিনি এমনই। তার ব্যাট যখন কথা বলে তখন কথা বলে তখন বোলারদের কিছুই করার থাকে না। কিন্তু মঙ্গলবার সাভারের বিকেএসপিতে তিনি এমন ঝড় তুলবেন কে জানতো? তামিম ইকবালের টর্নেডোতে শুধু রান বন্যা নয়, ভাঙ্গল রেকর্ডও! এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নিজের প্রথম ম্যাচেই ১৫৭ রানের আলো ঝলমলে এক ইনিংস খেললেন তামিম।
বিকেএসপি চার নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে কলাবাগানের বিপক্ষে রেকর্ড গড়া এই ইনিংস খেললেন তিনি। এটিই লিগে সর্বোচ্চ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস। ইনিংস সাজাতে খেলেন ১২৫ বল। যাতে ছিল ১৮ চার ও ৭ ছক্কার সমাহার।
লিগে আগের রেকর্ডটিও তামিমের। গতবার আবাহনীর হয়ে প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে করেন ১৪২ রান। এবার সেই ইনিংস ছাড়িয়ে গড়লেন নতুন রেকর্ড।
সব মিলিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের এটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। তামিম এর আগে ২০০৯ সালে বুলাওয়ায়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে করেন ১৫৪ রান। নিজের রেকর্ডটা নিজেই ভাঙ্গলেন!
এবারের লিগে এটিই ছিল তামিমের প্রথম ম্যাচ। নিষেধাজ্ঞার কারণে আগের ম্যাচটি খেলা হয়নি মোহামেডানের এই ব্যাটসম্যানের। ফিরেই ঝড় তুললেন তিনি। ম্যাচে ৬১ বলে করেন হাফসেঞ্চুরি। ৪১ বলে পরের ফিফটি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তার তেরতম সেঞ্চুরি। যা বাংলাদেশের পক্ষেও রেকর্ড!
তার এমন ব্যাটিংয়ে কলাবাগানের বিপক্ষে ৫০ ওভারে মোহামেডান করে ৯ উইকেটে ৩০৭ রান।
জবাব দিতে নেমে কলাবাগান ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে করে ২৮৩ রান। ২৪ রানে জিতে তামিমের মোহামেডান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
মোহামেডান: ৫০ ওভারে ৩০৭/৯ (তামিম ১৫৭, শামসুর ৩৮, রনি ২০, রকিবুল ৭, রহমত ৮, মিরাজ ২১, মিলন ২, তাইজুল ৮, কামরুল রাব্বি ২২, সাজেদুল ১১*, শুভাশীস ১*; সঞ্জিত ৪/৫২, তুষার ০/৪, নাবিল ২/৪৪, শাহবাজ ০/৪১, আশরাফুল ০/৫২, আবুল হাসান ১/৫১, মুক্তার ২/৩০, মাসকাদজা ০/৩০)।
কলাবাগান: ৫০ ওভারে ২৮৩/৯ (জসিম ১১, আশরাফুল ৪৬, মাসাকাদজা ৬৮, তুষার ৬৪, মেহরাব ১০, তাসামুল ১১, মুক্তার ৩৮*, আবুল হাসান ১০, সঞ্জিত ৩, শাহবাজ ০, নাবিল ০*; তাইজুল ০/২৪, শুভাশীস ১/৪০, কামরুল রাব্বি ৩/৬৯, সাজেদুল ১/৪২, রহমত ১/৩৬, মিরাজ ২/৫৬)।
ফল: মোহামেডান ২৪ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: তামিম ইকবাল
Discussion about this post