ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ঠিকমতো ব্যাট চালাতে পারেনি বাংলাদেশ দল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রাইস্টচার্চে ২৭১ রান তুলেছিল টাইগাররা। কিন্তু স্কোরবোর্ডে রান উঠতে পারত আরও। সংগ্রহটা তিন শর কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারত। তেমনটা হওয়ায় ঘুরে-ফিরে আসছে দলের দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের নাম—তামিম ইকবাল আর মুশফিকুর রহিম। ইনিংসের মাঝপথে তারা যেন নিজেদের খোলসে আবদ্ধ করে ফেললেন। তাই সিরিজের শেষ ম্যাচে তাদের আক্রমণাত্মক হওয়ার পরামর্শ ব্যাটিং কোচ জন লুইসের।
প্রথম ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে কম রান উঠলেও বাংলাদেশ দল বড় সংগ্রহে সক্ষম। এজন্য অভিজ্ঞরা মাঝের ওভারগুলোতে একটু দ্রুত রান করতে হবে। তাই দায়িত্ব নিতে তামিম-মুশফিকদের। এ ব্যাপারে জন লুইস বলেন, ‘আমি মনে করি প্রথম ১০ ওভারে খুব বেশি রান স্কোরবোর্ডে না উঠলেও সেই ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব, যদি আমাদের প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানরা ইনিংস মেরামতে খুব বেশি মনোযোগী না হয়ে ওঠে।’
কিউই সফরে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভরাডুবির মূল কারণ ছিল প্রথম ১০ ওভারে একটু বেশিই উইকেট হারিয়ে ফেলা। ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তেমন কিছু ঘটেনি তামিম আর সৌম্যর জুটিতে। এজন্য আক্রমণাত্বক খেলার কথা বলছেন জন লুইস,‘যদি প্রথম ১০ ওভারে উইকেট না পড়ে, এমনকি একটি উইকেটও যদি পড়ে, তাতেও স্কোরবোর্ডে ৩০-৪০ রান উঠলে ঠিক আছে। ডানেডিনে প্রথম ১০ ওভারে দু-তিনটি উইকেট পড়ে যাওয়ার কারণেই নিয়ন্ত্রণটা পুরোপুরি নিউজিল্যান্ডের কাছে চলে যায়। তবে সৌম্য-তামিমের জুটিটা মিঠুনকে স্বাধীনতা দিয়েছে। সে হাতখুলে খেলতে পেরেছে বলেই বাংলাদেশ লড়াই করার মতো স্কোর পেয়েছিল।’
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ খেলা মিথুনকে প্রশংসা করতে ভুল করেননি লুইস, ‘বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কিছু ব্যাপার নিয়ে বাড়তি চিন্তা করতে হয়, সেগুলোর মধ্যে আছে নতুন বলে উঁচু মানের পেস বোলিং সামলানো আর উইকেটের বাড়তি বাউন্স। তামিম অন্যদের চেয়ে অভিজ্ঞ। সে তাঁর অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে ক্রাইস্টচার্চে ইনিংসের ভিত গড়েছে। সেটি ইনিংসের দ্বিতীয় অংশে আমাদের সহায়ক হয়েছে। ক্রাইস্টচার্চ মিঠুন দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। সে চেষ্টা করেছে বলের লাইনে গিয়ে ব্যাটিং করতে। অফসাইডের দিকে খুব বেশি মন না দিয়ে লেগসাইডকে সে রান করার পথ বানিয়েছে। বল যখন ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামের চেয়ে বেশি বাউন্স করবে, তখন এভাবে খেলাটাই উত্তম। মিঠুন সে খেলাটাই খেলেছে।’
Discussion about this post