অগ্রজের প্রশংশায় পঞ্চমুখ তিনি। অবশ্য সেটাই স্বাভাবিক। তামিম ইকবালকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সেরা ব্যাটসম্যানই ভাবা হয়। সাফল্য দিয়ে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন এই ওপেনার। ২০১৫ সাল থেকেই ওয়ানডেতে ভাল খেলার ধারাবাহিকতাটা ধরে রেখেছেন তিনি। তারই পথ ধরে নামের পাশে যোগ হয়েছে পাঁচটি সেঞ্চুরি। সেই অগ্রজ ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে নিয়মিত বড় ইনিংস খেলার কৌশল শিখতে চান এনামুল হক বিজয়। ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে অবশ্য মনে রাখার মতো ইনিংস খেলতে পারেন নি তিনি।
এবারের টুর্নামেন্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪ বলে ১৯ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৭ বলে ৩৫ রান করে আউট এনামুল।
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছয়বার হাফসেঞ্চুরি করেছেন এনামুল। যার মধ্যে তিনবার করেছেন শতরান। উইকেটে থিতু হতে পারলে বড় ইনিংস এসে যায় তার ব্যাটে। এবার প্রায় তিন বছর পর জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন এনামুল। ত্রিদেশীয় ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ে আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরুটা ভাল করলেও পরে খেই হারিয়ে ফেলেন তিনি। কেন এমন হল সেই ব্যাখ্যায় রোববার বলেন, ‘দেখুন, বড় ইনিংস খেলা একটা অভ্যাসের ব্যাপার। তামিম ভাইকে দেখলে বুঝতে পারি। তিনি ২০১৫ সাল থেকে যেভাবে বড় ইনিংস খেলে যাচ্ছেন, আমার মনে হয়, জুনিয়র ব্যাটসম্যান হিসেবে এটা আমার জন্য শিক্ষণীয় ব্যাপার। ছোট বেলা থেকে যখন রান করি, তা বড় করার চেষ্টা করি। দুদিন থিতু হয়েছি কিন্তু বড় রান করতে পারিনি। চেষ্টা করব বড় রান করার জন্য। মাত্র তো দলে ফিরলাম, আশা করি সামনে আরো বেশি কিছু শিখতে পারবো।’
সর্বশেষ ৪০ ইনিংসে ৫টি সেঞ্চুরি করেছেন তামিম। এনামুলের সঙ্গে ২১বারের জুটিতে রয়েছেন দুটি সেঞ্চুরি আর তিনটি ফিফটি। তামিমের সঙ্গে ওপেনিংটা বেশ উপভোগ করেন এনামুল। জানালেন, ‘তামিম ভাই সব সময় খুব সমর্থন করেন। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিম ভাইয়ের চেয়ে সহায়ক কেউ নেই। বাংলাদেশে এতো বড় একজন ওপেনার জন্ম নিয়েছেন, এটা বিরাট ব্যাপার। পিচে ডানহাতি ও বাঁহাতির কম্বিনেশন থাকলে বোলারদের জন্য একটু অসুবিধা থাকে। দিক পরিবর্তন হলে বোলিংয়েও পরিবর্তন আনতে হয়। আমরা ওপেনাররা যদি বেশি রান করতে পারলে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজ সহজ হয়ে যায়।’
Discussion about this post