ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নতুন আসরের নিলাম নিয়ে জল্পনার অবসান ঘটতে চলেছে। ভারতের ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, আসন্ন ২০২৬ আইপিএল মৌসুমের নিলাম হতে পারে আগামী ডিসেম্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে, সম্ভাব্য তারিখ ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর।
যদিও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু ঘোষণা দেয়নি, তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিলামের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে আলোচনা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত দুই আসরের নিলাম হয়েছিল দেশের বাইরে-২০২৩ সালে দুবাইয়ে এবং ২০২৪ সালে সৌদি আরবের জেদ্দায়। তবে এবার বিসিসিআই চাইছে নিলাম হোক দেশের মাটিতেই। সম্ভাবনা রয়েছে মুম্বাই, আহমেদাবাদ বা চেন্নাইয়ের মতো বড় শহরগুলোর কোনো একটিতে অনুষ্ঠানটি আয়োজনের।
এবারের নিলামকে বলা হচ্ছে ‘মিনি নিলাম’, বড় ধরনের দলবদল না হলেও, কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন ঘটতে পারে একাধিক দলে।
বিসিসিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নিলামের আগে জানাতে হবে তারা কোন খেলোয়াড়দের ধরে রাখছে এবং কাদের ছেড়ে দিচ্ছে। ক্রিকবাজের তথ্যমতে, ১৫ নভেম্বরের মধ্যে এই তালিকা জমা দিতে হবে ১০টি দলকে।
গত আসরে সবচেয়ে হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেছে চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে) পয়েন্ট তালিকার একেবারে নিচে থেকে মৌসুম শেষ করেছে তারা। তাই নিলামে বড় পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে দলটিতে।
চেন্নাই সম্ভবত দীপক হুডা, বিজয় শঙ্কর, রাহুল ত্রিপাঠী, স্যাম কারেন ও ডেভন কনওয়েকে ছেড়ে দিতে পারে। দলের হাতে থাকবে অতিরিক্ত ৯ কোটি ৭৫ লাখ রুপি, কারণ রবিচন্দন অশ্বিন আইপিএল থেকে অবসর নিয়েছেন-যে টাকায় তাকে কেনা হয়েছিল, সেটিই এখন বাজেট হিসেবে ফিরে আসছে সিএসকের হাতে।
কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) গত মৌসুমে বড় অঙ্কে (২৩ কোটি ৭৫ লাখ রুপি) কেনা বেঙ্কটেশ আয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চিত। তার পারফরম্যান্স প্রত্যাশা অনুযায়ী না হওয়ায় কেকেআর হয়তো তাকে ছেড়ে দিতে পারে।
মোহাম্মদ শামি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ডেভিড মিলার, টি নটরাজন ও ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গাকেও তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
২০২৫ সালের আইপিএলের ফাইনালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু (আরসিবি) প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়েছিল। তারা পাঞ্জাব কিংসকে ৬ রানে হারিয়ে নিজেদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটায়।
২০২৬ সালের আইপিএল মাঠে গড়ানোর সম্ভাব্য সময় ১৫ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত। নিলাম শেষ হওয়ার পর দলগুলো জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে নিজেদের স্কোয়াড চূড়ান্ত করবে। ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হবে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি।
Discussion about this post