ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
এ বছরই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন। সেখানে কি অংশ নেবেন নাজমুল হাসান পাপন? বর্তমান সভাপতি এনিয়ে একটা ইঙ্গিতও রাখলেন। ঢাকার একটি হোটেলে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির আসন্ন নির্বাচন ও আবার দায়িত্বে আসার প্রসঙ্গে এই কথা বলেন তিনি।
পাপন জানালেন বাংলাদেশ কোনো ম্যাচ হারলে তার মেজাজ খারাপ হয়ে যায় তার। বেশ চাপ যায়। এ অবস্থায় শারীরিক ও মানসিক ধকল কমাতে ক্রিকেট থেকে যত দ্রুত সম্ভব দূরে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তেমনটা জানালেন পাপন।
পাপন বলেন, ‘ক্রিকেট অনেক সময় নিয়ে নিচ্ছে। অনেক বেশিই সময় নিচ্ছে। আমার একটা খারাপ ব্যাপার হচ্ছে, হারলে তা মেনে নিতে পারি না। বাংলাদেশ হারলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। বউ-বাচ্চারা কেউ তখন আমার সামনে আসে না। ডাক্তারের পক্ষ থেকে আমাকে বারবার বলা হয়েছে, ক্রিকেট থেকে যত দ্রুত সম্ভব, দূরে সরে যেতে। অন্তত, বোর্ডে থাকলেও এই জিনিসগুলো যেন না করি। আপনাদের জানানোর জন্য বলে রাখলাম। অনেক বেশি সময় নিচ্ছে।’
এ অবস্থায় দ্রুত বিসিবি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি। নিজের অংশগ্রহণের ব্যাপারটি নিয়ে পাপন বলেন, ‘আমাদের ১ তারিখে বোর্ড সভা আছে। যা যা নিয়মকানুন আছে, সেখানে আমরা ঘোষণা করে দেব। যত দ্রুত সম্ভব আমরা করে ফেলব, দেরি হওয়ার কারণ নেই। খুব কঠিন এটা বলা…১ তারিখের বোর্ড সভার পর একটু ভিন্নতা পাবেন আপনারা, নির্বাচন নিয়ে। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই, এবারের নির্বাচন একটু আলাদা হবে। অন্যান্যবারের মতো নাও হতে পারে। অন্তত আমি সেটাই প্রস্তাব করব, গ্রহণ করা হবে কিনা, পরের ব্যাপার।’
বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভা প্রতি বছর হওয়ার কথা। কিন্তু এবার হলো চার বছর পর। আর সভাপতিত্ব করলেন নাজমুল হাসান পাপন। ২০১২ সালের অক্টোবরে সরকার মনোনয়নে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেন তিনি। পরের বছরের অক্টোবের নির্বাচনে জয়ী হন তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ২০১৭ সালের নির্বাচনে আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পান পাপন। এবার শেষ হচ্ছে সেই মেয়াদ।
Discussion about this post