ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বুধবার রাতেই পাকিস্তান উড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কিন্তু তার আগে টাইগারদের সবচেয়ে বেশি ভাবাচ্ছে দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে এ নিয়ে আপাতত কোন চিন্তায় নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। মঙ্গলবার মিরপুর শের-বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাপারটিকে পাশ কাটিয়ে তিনি দিলেন ট্রফি জয়ের স্পষ্ট বার্তা, ‘এই মুহূর্তে ব্যক্তিগতভাবে আমি এতটুকু বলতে পারি আমার মনে হয় দলের অন্য খেলোয়াড়রাও চিন্তিত না। কারণ এটার সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। আমরা এখন ওখানে খেলার কথাই চিন্তা করছি, কীভাবে ভালো পারফর্ম করতে পারব এবং জিততে পারব এটা নিয়েই বেশি চিন্তিত। সিরিজ জেতার উদ্দেশ্যেই খেলব।’
টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে পাকিস্তানের অবস্থান এক নম্বরে অন্যদিকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯ নম্বরে। ব্যাপারটি অবশ্য মাথায় আনছেন না মাহমুদউল্লাহ, ‘র্যাংকিংটা অবশ্য ভিন্ন কথা বলে। আমরা ৯ নম্বরে ওরা এক নম্বরে। তারা ধারাবাহিকভাবে ফর্মে আছে এই ফরম্যাটে। আমার কাছে মনে হয় যেভাবে আমরা ক্রিকেট খেলছি বিগত সিরিজে এবং লাস্ট কয়েকটা সিরিজ আমি খুব আশাবাদী আমরা ভালো করতে পারব, ইনশাল্লাহ আমরা সিরিজ জেতারই চেষ্টা করব।’
নিরাপত্তা শঙ্কায় পাকিস্তান সফরে নেই মুশফিক। অন্যদিকে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কারণে সাকিব আল হাসানকেও পাচ্ছে না টাইগাররা। তাই সিনিয়র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তামিম ইকবালের সঙ্গী মূলত পুরো তারুণ্য নির্ভর দল। তবে নিজের দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বেশ সন্তুষ্ট- ‘এই দলে জায়গা পেয়েছে তারা প্রায় সবাই এবারের বিপিএলে খুবই ভালো পারফরম্যান্স করেছে। বেশিরভাগ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান রানের মধ্যে আছে। বোলাররা উইকেট পেয়েছে। ম্যাচে ভালো পারফর্ম করেছে। দলের শক্তি নিয়ে আমি সার্বিকভাবে অনেক আত্মবিশ্বাসী। এখন দেখার বিষয় মাঠের ক্রিকেটে আমরা নিজেদের কেমন করে মেলে ধরতে পারি। আমি এবং তামিম এই দলের সবচেয়ে সিনিয়র খেলোয়াড়। আমরা দুজনেই মনে করি এই দলে আমাদের দায়িত্বটা একটু বেশি। টপঅর্ডারে তামিমের অভিজ্ঞতা অনেক বড় একটা বিষয়। বেশ ভালো ছন্দেও আছে তামিম। এই বিপিএলে রানও করেছে। দলে ব্যাটসম্যান হিসেবে আমারও যে ভূমিকা থাকবে আশা করছি সেটা ভালভাবে পালনে সক্ষম হব। সত্যি বলতে কি দলের প্রতিটি ক্রিকেটারেরই নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই সিরিজে হয়তো অনেক ব্যাটসম্যানকে নতুন জায়গায় ব্যাটিং করতে হতে পারে-এই বিষয়টা সিরিজ শুরুর আগে সবাই বেশ ভালোই জানে, সেভাবেই তারাও নিজেদের প্রস্তুত করছে।’
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এরইমধ্যে টাইগারদের নিরাপত্তা দিতে দিয়েছে বাড়তি প্রতিশ্রুতিও। তাই মাহমুদউল্লাহ ব্যাপারটি নিয়ে মোটেও ভাবছেন না। সতীর্থদেরও এ বার্তা দিয়েছেন তিনি। সেখানে তাদের লক্ষ্য শুধু ট্রফি জেতা। যা করতেই লাহোরে আগামী ২৪, ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবেন তারা।
Discussion about this post