গল টেস্ট দিয়ে মাঠে গড়িয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার নতুন টেস্ট সিরিজ। কিন্তু এই সিরিজের গুরুত্ব এখানেই সীমাবদ্ধ নয়-এটি ২০২৫-২৭ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ধাপও। টেস্ট ফরম্যাটকে প্রাণবন্ত রাখতে আইসিসির এই টুর্নামেন্ট ইতোমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে, তবে প্রশ্ন উঠেছে-সব দলের জন্য কি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সত্যিই সমান সুযোগের?
নতুন চক্রে আইসিসি যে সূচি প্রকাশ করেছে, সেখানে পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে বৈষম্যের ছাপ। ইংল্যান্ড খেলবে সর্বোচ্চ ২১টি টেস্ট, অস্ট্রেলিয়া ২০টি, আর ভারত ১৮টি। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মতো দলগুলোর জন্য বরাদ্দ-মাত্র ১২টি করে ম্যাচ।
টেস্ট ক্রিকেটে এমনিতেই ছোট দলগুলো সেভাবে সুযোগ পায় না বড় দলের বিপক্ষে। এবারও একই ট্রেন্ড বজায় থাকছে। বাংলাদেশ যে ১২টি ম্যাচ খেলবে, তার মধ্যে বড় দলগুলোর বিপক্ষে ম্যাচ কমই থাকবে। ফলে চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই তারা পিছিয়ে থাকছে।
দুই বছরব্যাপী চক্রে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলোর সুযোগ অনেক বেশি। তারা হারলেও ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচ পায় বারবার। কিন্তু বাংলাদেশের মতো দলের সামনে প্রতিটি ম্যাচ যেন ফাইনাল। একটি হারই হয়ে উঠতে পারে বড় ক্ষতি। সাফল্যের জন্য তাদের খেলতে হবে নিখুঁত ক্রিকেট।
গতবার দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ১২টি টেস্ট খেলেও পৌঁছে গিয়েছিল ফাইনালে। যদিও তারা শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে খেলেইনি, তাই সমালোচনার মুখে পড়েছিল। এবার আইসিসি এমন অভিযোগ এড়াতে চাইছে। তবে সূচিতে বড় দলদেরই সুবিধা যেন স্পষ্ট।
যেহেতু ম্যাচ সংখ্যা কম, তাই বাংলাদেশের মতো দলের জন্য এখন দরকার হবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা-বিশেষ করে ঘরের মাঠে প্রতিটি ম্যাচে জয় নিশ্চিত করা। বাইরে গিয়ে অন্তত কিছু ম্যাচে লড়াই করে পয়েন্ট তুলতে হবে। বোলিং আক্রমণ, ব্যাটিং গভীরতা, এবং মাঠের কৌশল-সবকিছুতেই আরও ধার আনতে হবে।
চ্যাম্পিয়নশিপের প্রতিটি পয়েন্ট যেখানে মহার্ঘ্য, সেখানে ম্যাচসংখ্যার বৈষম্য নিয়েও প্রশ্ন থাকছেই। কিন্তু বাস্তবতা মেনে বাংলাদেশকে পরিকল্পনা করতে হবে আরও পেশাদারভাবে।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (২০২৫–২৭): কারা খেলবে কত ম্যাচ?
দল ম্যাচ সংখ্যা
ইংল্যান্ড ২১
অস্ট্রেলিয়া ২০
ভারত ১৮
নিউজিল্যান্ড ১৬
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪
পাকিস্তান ১৩
বাংলাদেশ ১২
শ্রীলঙ্কা ১২
Discussion about this post