ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ফের দেশের মাঠে ওয়ানডে লড়াই। সময়ের ঘড়ি বলছে দীর্ঘ সাত মাস! দীর্ঘ সময় পর পছন্দের ফরম্যাট ওয়ানডেতে রোববার দুপুর ১টায় সিলেটে খেলতে নামছে বাংলাদেশ দল। লড়াই জিম্বাবুয়ের সঙ্গে। গত ৭ বছরে ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের কাছে ১৩ ম্যাচের একটিও হারেনি বাংলাদেশ। সেই আত্মবিশ্বাসটাও সঙ্গে থাকছে টাইগারদের।
অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ম্যাচের আগের দিন বলেন, ‘অবশ্যই আমরা জিততে চাই। তবে এ লক্ষ্য এখন থেকেই ঠিক করছি না। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে চাই। এজন্য সবাই তৈরিও।’
গত জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার ঘরের মাঠে সব শেষবারের মতো ওয়ানডে খেলেছে দল। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে তিন ম্যাচের তিনটিতেই হার মেনেছে টিম টাইগার্স। এ অবস্থায় ৫০ ওভারের ক্রিকেটে রাসেল ডমিঙ্গোর দল চাইছে জয়ে ফিরতে। আবার মাশরাফির জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচ। গতবছর বিশ্বকাপের পর থেকেই ছিলেন মাঠের বাইরে। সেই ধাক্কা সামলে ফিরছেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলেছে ৭২টি। এরমধ্যে ৪৪টিতে জয় আর ২৮টি হেরেছে লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা।
এই সিরিজ দিয়েই মাশরাফির ক্যারিয়ার শেষ হবে কীনা নিশ্চিত নয়। পাকিস্তানে এক ম্যাচের ওয়ানডে খেলতে যেতে পারেন তিনি।
মাশরাফি নিজে খেলা চালিয়ে যেতে চান। শনিবার সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘সব তো বোর্ড সভাপতি বলেছেনই। আমার সঙ্গে কী কী কথা হয়েছে বোর্ড সভাপতির, আমার মনে হয় না, সেটা আপনাদেরকে বলার প্রয়োজন আছে। ক্রিকেট বোর্ড যেটা বলেছে আপনারা তো জানেনই। অতটুকুই তো যথেষ্ট। আমার মুখ থেকে আবার শুনতে হবে কেন? সেটা তো আমি জানি না (শেষ কিনা)। আমি তো বলেছি, এটা নিয়ে বলার কিছু নাই। যদি থাকত বলার, অবশ্যই বলতাম। বোর্ড সভাপতি যেটা বলেছেন, আপনারা তো সেটা জেনেছেনই। আমার মুখ থেকে শোনার আর কী দরকার!’
এটা সত্য ৫ ওয়ানডেতে উইকেটের দেখা পাননি মাশরাফি। তবে তিনি যে ফাইটার এটা সবাই জানে। তার হাত ধরেই দেশের ক্রিকেট আজ এতোটা পথ এগিয়েছে। মাশরাফি বলেন, ‘যদি থামতে হয়, আপনারা জানবেন। থামাথামির বিষয়ে তো অনেক কথা বলেছি। বারবার এ ব্যাপারে একই প্রশ্ন করার তো কিছু নেই। আমার জায়গায় আপনারা কি অস্পষ্ট আছেন? একই প্রশ্ন তো বারবার করার কিছু নাই!’
Discussion about this post