সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে রীতিমতো হৈচৈ পড়ে গেছে। বয়ে যাচ্ছে সমালোচনার ঝড়। যিনি ক্রিকেটারদের নিয়মের মধ্যে রাখবেন তিনিই কীনা নিয়ম ভাঙ্গলেন।
এইতো ২৬ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ হারের মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে নিয়ম ভেঙ্গে মেলবোর্নের জুয়ার আসর ক্রাউন ক্যাসিনোতে দেখা গেছে খালেদ মাহমুদ সুজনকে। অথচ তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ম্যানেজার!
জানা গেছে দু’জন সঙ্গী নিয়ে যান হোয়াইটম্যান স্ট্রিটের ক্রাউন ক্যাসিনোতে যান তিনি। সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ পেয়েছে গভীর রাত পর্যন্ত ক্যাসিনোতে ছিলেন সুজন। আর তার হাতে দেখা যায় অস্ট্রেলিয়ান ডলার। ধারনা করা হচ্ছে জুয়া খেলার জন্যই হাতে ডলার ছিল তার।
অবশ্য সুজনের দাবী তিনি জুয়া খেলেন নি। তবে জুয়ার আসরে ঠিকই গিয়েছেন। রাতের খাবার খেতেই নাকি ক্যাসিনোতে যান তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য এখানে আপাতত ম্যানেজারের পক্ষ নিয়েছে। অথচ ক্যাসিনোতে জুয়া খেলার অভিযোগে পাকিস্তানের ম্যানেজার মইন খানকে দেশে ফেরত পাঠায় তাদের ক্রিকেট বোর্ড।
সফরে শৃংখলা ভাঙ্গায় বাংলাদেশের পেসার আল আমিন হোসেনকে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশ ফেরত আনে টিম ম্যানেজমেন্ট। এবার সুজনের কী হয় তাই দেখার!
অবশ্য এনিয়ে এখনই কোন কথা বলতে চাইছে না বিসিবি। তবে বোর্ড কর্তারা পুরো বিষয়টা নিয়ে বিব্রত। এ নিয়ে হয়তো জবাবদিহিতার মুখে পড়তে হতে পারে সুজনকে। আইন সবার জন্য সমান। বিসিবি নিশ্চয়ই এই কথাটা মনে রেখেই সিদ্ধান্ত নেবে।
সুজন কান্ড নিয়ে মাছরাঙ্গার নিউজ দেখতে ক্লিক করুন-
Discussion about this post