জুলাই ছিল ক্রিকেটবিশ্বে এক রোমাঞ্চকর অধ্যায়। কখনও ব্যাটের ঝড়, কখনও বলের ঘূর্ণি-মাঠের প্রতিটি মুহূর্তে ছিল উত্তেজনা, নাটক আর নায়কত্ব। আইসিসি সেই মাসের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে বেছে নিয়েছে তিন পুরুষ ও তিন নারী ক্রিকেটারকে-যারা হয়ে উঠেছিলেন জুলাইয়ের মুখ।
পুরুষদের দলে আছেন তিন ভিন্ন ধাঁচের তারকা-ভারতের টেস্ট অধিনায়ক শুবমান গিল, ইংল্যান্ডের প্যাশনেট লিডার বেন স্টোকস, আর দক্ষিণ আফ্রিকার নীরব বিধ্বংসী উইয়ান মাল্ডার।
জুলাই মাস। এজবাস্টনের সবুজ গালিচায় টস জিতে ব্যাট করতে নামে ভারত। সামনে ইংল্যান্ডের পেস-ঝড়, চারদিকে গর্জন করা দর্শক। আর ঠিক তখনই ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখালেন ভারতের নতুন টেস্ট অধিনায়ক শুবমান গিল। ২৬৯ রানের এক মহাকাব্যিক ইনিংস, পরে আরেকটি শতক-১৩১ রান। যেন রান নয়, ইতিহাস লিখছিলেন। সিরিজ শেষে তার সংগ্রহ ৫৬৭ রান, গড় ৯৪.৫০! নেতৃত্বের প্রথম পরীক্ষায় এমন সাফল্য বিরল।
বেন স্টোকসের ক্রিকেটে আবেগ আছে, আগ্রাসন আছে, আছে নির্ভরতা। জুলাইয়ে তিনটি টেস্টে ২৫১ রান আর ১২ উইকেট। যা শুধুই পরিসংখ্যান নয়, বরং প্রতিটি মুহূর্তেই ম্যাচ ঘোরানোর গল্প। ম্যানচেস্টারে ১৪১ রানের ইনিংসের পর বল হাতে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে প্রমাণ করলেন-স্টোকস মানেই পার্থক্য গড়ে দেওয়া একজন। কিন্তু শেষ টেস্টে চোট তাকে মাঠের বাইরে রেখে দেয়, আর ইংল্যান্ড হেরে যায় মাত্র ৬ রানে।
দক্ষিণ আফ্রিকার উইয়ান মাল্ডারের নাম হয়তো এত প্রচলিত নয়, কিন্তু জুলাইয়ে তার পারফরম্যান্স ছিল অবিশ্বাস্য। ৩৬৭ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস ঘোষণা করা, যেখানে সামনে ছিল লারার ৪০০ রানের কিংবদন্তি রেকর্ড-এই সিদ্ধান্তেই বোঝা যায় তার আত্মনিয়ন্ত্রণ ও দলপ্রেম। সিরিজে তার মোট রান ৫৩১, গড় ২৬৫.৫০ এবং ৭টি উইকেট।
ইংল্যান্ডের সোফিয়া ডাঙ্কলি ও সোফি একলেস্টোন, আর আয়ারল্যান্ডের গ্যাবি লুইস পেয়েছেন নারী বিভাগের মনোনয়ন।
Discussion about this post