ব্যাটিং উইকেট। রান তো আসবেই। সঙ্গে যদি বোলাররা দিশেহারা বোলিং করেন তবে তো রান পাহাড়ে চড়বেই দল। ঠিক তাই হয়েছে। শনিবার বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টি ম্যাচে বড় সংগ্রহ গড়েছে জিম্বাবুয়ে দল। স্বাগতিকরা তুলেছে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৫ রান।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শনিবার নেতৃত্বের অভিষেকে টস হারলেন নুরুল হাসান সোহান। জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন টস জিতে নেন ব্যাটিং। এরপর তারা তুললেন বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০ ওভারের ক্রিকেটে নিজেদের সর্বোচ্চ রান।
এদিন নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছিলেন না। তার মতোই সিরিজে বিশ্রামে মুশফিকুর রহিম। নেই সাকিব আল হাসানও। এ অবস্থায় দলে পরিবর্তন তিনটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচের দল থেকে বাদ পড়েন অফ স্পিনার শেখ মেহেদি হাসান। ফিরেন পেসার তাসকিন আহমেদ। সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর জায়গায় এসেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুনিম শাহরিয়ার।
এ অবস্থায় ম্যাচে সিকান্দার রাজা ও ওয়েজলি মাধভেরে দাপটেই সর্বনাশ। মাত্র ২৩ বলে ফিফটি করেন সিকান্দার রাজা। এটি তার ক্যারিয়ারের চার নম্বর টি-টুয়েন্টি ফিফটি। চার হাঁকিয়েছেন ৫টি আর ছয় ৩টি। ওয়েজলির সঙ্গে জুটি গড়ে মাত্র ৪৩ বলে করেন ৯৩ রান। ৪৬ বলে ৬৭ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওয়েজলি।
জিম্বাবুয়ের প্রথম ১০ ওভারে আসে মাত্র ৭টি বাউন্ডারি, সব কটিই ছিল চার। এরপর জিম্বাবুয়ে ইনিংস শেষ করেছে ২৩টি চার ও ৫টি ছয়ে। ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৫ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ স্কোর তাদের। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
এদিন মোসাদ্দেক হোসেন ও আফিফ হোসেন মিলিয়ে ৪ ওভারে দেন মাত্র ২৭ রান। কিন্তু বিশেষজ্ঞ বোলাররা ঠিক মতো বল করতে পারেননি। বাংলাদেশের তিন পেসার ছিলেন খরুচে। সর্বোচ্চ ৫০ রান দেন মুস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া শরিফুল ৪৫ ও তাসকিন দেন ৪২ রান। তিনজনে ১২ ওভারে দেন ১৩৭ রান! মোস্তাফিজ সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন। ১ উইকেট নেন মোসাদ্দেক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ২০৫/৩ (চাকাভা ৮, আরভিন ২১, মাধেভেরে ৬৭ (আহত অবসর), উইলিয়ামস ৩৩, রাজা ৬৫*, বার্ল ০*; তাসকিন ৪-০-৪২-০, নাসুম ৪-০-৩৮-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৫০-২, মোসাদ্দেক ৩-০-২১-১, শরিফুল ৪-০-৪৫-০, আফিফ ১-০-৬-০)
Discussion about this post