দুই ম্যাচ আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে ফাইনাল। তারপরও আয়েশী হচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বরং আটঘাট বেধেই মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হচ্ছে। দুপুর ১২টায় মিরপুরের শেরেবাংলায় মাশরাফি বিন মতুর্জার দল লড়বে অতিথি দলের সঙ্গে। যেখানে জিততে মরিয়া দু’দলই। টাইগারদের হারাতে পারলে ফাইনালে উঠার পথটা প্রস্বস্ত হবে জিম্বাবুয়ের।
জিম্বাবুয়ের টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। দ্বিতীয় ম্যাচে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শ্রীলঙ্কাকে ১৫৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ঐ দুই ম্যাচের মতো আজও জ্বলে উঠতে চান তামিম ইকবাল। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এমন ইঙ্গিতই যেন দিয়ে রাখলেন দেশসেরা এ ওপেনার। তামিম বলেন ‘আমরা চেষ্টা করবো, যতোগুলো ম্যাচ খেলব প্রতিটা ম্যাচেই আক্রমণাত্বক খেলার। অনেক সময় সম্ভব হয় না। কখনো হবে না। আমি যেটা সব সময় টার্গেট করি, তা হলো ৩০-৪০ বল খেলে সেট হওয়ার পর যতোটা ইনিংস বড় করা যায়। যে কোনো পজিশনেই আপনি নামেন না কেন প্রথম ২০টা বল সবসময়ই কঠিন। তাই আমি সব সময় চেষ্টা করি ২০-৩০ বল ভালভাবে মোকাবেলা করতে, যখন সেট হয়ে যাই চেষ্টা করি ইনিংস যতোটা বড় করা যায়।’
ফাইনালে আগেই উঠে যাওয়ায় মুস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্রামের কথা ভেবেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু তার ছন্দ ফেরাটা ধরে রাখতে হয়তো শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা বদলাতে হচ্ছে তাদের।
এখন পর্যন্ত রানরেটে জিম্বাবুয়ের থেকে এখনো পিছিয়ে আছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শ্রীলঙ্কা। তিন ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৪, জিম্বাবুয়েরও সমান। শ্রীলঙ্কার রানরেট (-০.৯৮৯) জিম্বাবুয়ের (-০.৮৯২) থেকে কম। অন্যদিকে দুই ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ, রানরেট (+২.৯৮৫)। এ অবস্থায় টাইগারদের হারিয়ে অঘটন জন্ম দিতে পারলে এগিয়ে যাবে জিম্বাবুয়ে। সিরিজে আরেক ম্যাচে ২৫ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে।
Discussion about this post