ম্যাচ বাঁচানোর জন্য চেস্টার ত্রুটি করেনি জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। তবে সকাল থেকেই তাদের চেপে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা। আর তাতেই রোববার টেস্টের পঞ্চম ও শেষদিনে চা বিরতির আগেই রচিত হল ইতিহাস। তৃতীয় টেস্ট ১৮৬ রানে জিতল বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো ৩-০ ব্যবধানে কোনো সিরিজ জিতল টাইগাররা। স্মরনীয় এক মুহুর্ত!
বাংলাওয়াশের মঞ্চ তৈরিই ছিল। ঢাকা ও খুলনা টেস্ট জিতে সিরিজে ২-০’তে এগিয়ে ছিল দল। এরপর চটগ্রাম টেস্টের শুরু থেকেই দাপট ছিল স্বাগতিকদের। রোববার বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ৯ উইকেট। সেটা তুলে নিতে সময় নেয়নি দল। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকালে ১ উইকেটে ৭১ রান নিয়ে খেলা শুরু করে সফরকারীরা।
তবে লড়েছিলেন সিকান্দার রাজা (৬৫) এবং রেগিস চাকাভা (৮৯)। িকন্তু লাভ হল না। বাংলাদেশের পেস আর স্পিন আক্রমন শেষ করে দিল তাদের। চার বিরতির ঠিক আগে তারা ২য় ইনিংসে ২৬২ রানে অলআউট। এর আগে ১ম ইনিংসে তুলেছিল ৫০৩ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ৩১৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। আর জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংসে তুলে ৩৭৪ রান। তিন টেস্টে ১৮ উইকেট আর ২৫১ রান করে সিরিজ সেরা সাকিব আল হাসান।
টেস্ট সিরিজ শেষে এবার ওয়ানডে লড়াই। ২১ ও ২৩ অক্টোবর ৫ ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুটি ওয়ানডে হবে। ভেনু-চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ১ম ইনিংসে ৫০৩/১০ (ইমরুল ১৩০, তামিম ১০৯, সাকিব ৭১; রাজা ৩/১২৩) ও ২য় ইনিংসে ৩১৯/৫ ডিক্লে. (মুমিনুল ১৩১*, তামিম ৬৫; পানিয়াঙ্গারা ২/৩১, মুশাংওয়ে ২/৭৭)
জিম্বাবুয়ে: ১ম ইনিংসে ৩৭৪/১০ (চিগুম্বুরা ৮৮, রাজা ৮২, হ্যামিল্টন ৮১, চাকাবভা ৬৫; জুবায়ের ৪/৯৬) ও ২য় ইনিংসে ২৬২/১০ (রাজা ৬৫, মাসাকাদজা ৩৮, টেইলর ২৪, চাকাবভা ৮৯*; রুবেল ২/১৬, শফিউল ২/১৭, জুবায়ের ২/৫৬, শুভাগত ২/৬৬, মাহমুদুল্লাহ ১/৪, জুবায়ের ১/৪৮)
ফল: বাংলাদেশ ১৮৬ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: মমিনুল হক
সিরিজ: বাংলাদেশ ৩-০’তে জয়ী
সিরিজসেরা: সাকিব আল হাসান
##################
ধবল ধোলাই করতে বাংলাদেশের চাই ৯ উইকেট
এবার চট্রগ্রাম টেস্টেও ড্রাইভিং সিটে বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ টেস্টেও জয়ের সুবাস পাচ্ছে মুশফিকুর রহীমের দল। রোববার টেস্টের শেষ দিনে ৯ উইকেট তুলতে পারলেই জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ। ধবলধোলাই!
দলকে এমন প্লাটফর্ম এনে দিয়েছেন মমিনুল হক। আরো একটা সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। ১২ টেস্টের ক্যারিয়ারে ২৩ ইনিংসে তার ব্যাটিং গড় এখন ৬৩.০৫। ২০টির বেশি ইনিংস খেলা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ব্র্যাডম্যানের ৯৯.৯৪ রানের গড়ের পরের স্থানটিতে এখন মমিনুল।
শনিবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে ৩১৯ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ইতিহাস বলছে এবারই প্রথম কোনো টেস্টের ২ ইনিংসে তিনশ’ পার হল দলের।
প্রথম ইনিংসে ৫০৩ রান করেছিল বাংলাদেশ।।
তাতেই জিম্বাবুয়ের জিততে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৪৯ রান। রেকর্ড রান। জিততে হলে রীতিমতো রেকর্ড গড়তে হবে তাদের। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৪১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৩ উইকেটে জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই রেকর্ড এখন অব্দি টিকে আছে।
তেমন লক্ষ্য সামনে নিয়ে খেলতে নেমে শনিবার টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে জিম্বাবুয়ের ২য় ইনিংসে রান ১ উইকেটে ৭১ রান। সিকান্দার রাজা ৪৩ ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ২৬ রানে ব্যাট করছেন।
এর আগে সকালে দারুণ ব্যাট করেছেন তামিম ইকবাল এবং মমিনুল হক। তামিম ফিরে যান ৬৫ রানে। ৩০ রান মাহমুদুল্লাহর। মুশফিক করেন দ্রুত ৩০ বলে ৪৬ রান। আর মমিনুল অপরাজিত থাকেন ১৩১ রান। এটি ১২ টেস্টে তার চতুর্থ শতরান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ১ম ইনিংসে ৫০৩/১০ (ইমরুল ১৩০, তামিম ১০৯, সাকিব ৭১; রাজা ৩/১২৩) ও ২য় ইনিংসে ৩১৯/৫ ডিক্লে. (তামিম ৬৫, ইমরুল ১৫, মুমিনুল ১৩১*, মাহমুদুল্লাহ ৩০, সাকিব ১৭, মুশফিক ৪৬, শুভগত ৩*; পানিয়াঙ্গারা ২/৩১, মুশাংওয়ে ২/৭৭)।
জিম্বাবুয়ে: ১ম ইনিংসে ৩৭৪/১০ (চিগুম্বুরা ৮৮, রাজা ৮২, হ্যামিল্টন ৮১, চাকাবভা ৬৫; জুবায়ের ৪/৯৬) ও ২য় ইনিংসে ৭১/১ (রাজা ৪৩*, মাসাকাদজা ২৬*; রুবেল ১/১৬)।
##########################
জিম্বাবুয়ে অলআউট ৩৭৪, লিড বাংলাদেশের
বেশ জবাব দিচ্ছিল জিম্বাবুয়ে। ফলোঅন এড়িয়ে বাংলাদেশের ইনিংস ছুঁয়ে ফেলার লড়াই শুরু করেছিল তারা। কিন্তু বেলা গড়াতেই সব শেষ! চা বিরতির পর চমক দেখালেন বাংলাদেশের বোলাররা। তাতেই তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে ১ম ইনিংসে ৩৭৪ রানে অলআউট জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছিল ৫০৩ রান। তাইতো ১২৯ রান লিড পায় স্বাগতিকরা।
আর শুক্রবার দিন শেষে বাংলাদেশের রান কোন উইকেট না হারিয়ে ২৩। ইমরুল কায়েস ১১ ও তামিম ইকবাল ৮ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।
শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বেশ দাপটেই খেলছিল সফরকারীরা। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও সিকান্দার রাজা পথ দেখাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে মাসাকাদজাকে (৮১) ফেরান শফিউল। ভাঙে ১৬০ রানের রেকর্ড জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে এটিই জিম্বাবুয়ের সেরা জুটি। আগের রেকর্ডটি ছিল অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল ও মার্ক ডেকারের। ১৯৯৩ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে ১৩৫ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।
রাজা করেন ৮২। এল্টন চিগুম্বুরার ব্যাট থেকে আসে ৮৮ রান।
৯৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন জুবায়ের হোসেন লিখন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ১ম ইনিংসে ৫০৩/১০ (ইমরুল ১৩০, তামিম ১০৯, সাকিব ৭১; রাজা ৩/১২৩) ও ২য় ইনিংসে ২৩/০ (তামিম ৮*, ইমরুল ১১*)
জিম্বাবুয়ে: ১ম ইনিংসে ৩৭৪/১০ (রাজা ৮২, হ্যামিল্টন ৮১, চাকাবভা ৬৫, চিগুম্বুরা ৮৮, মুতুমবামি ২০; জুবায়ের ৫/৯৬, শফিউল ২/৫০, রুবেল ১/৪৬, সাকিব ১/৬৭, তাইজুল ১/১০০)
###########################
বাংলাদেশ ১ম ইনিংসে ৫০৩, লড়ছে জিম্বাবুয়ে
চট্রগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনই আঁচ করা গিয়েছিল রান পাহাড়ে উঠতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত তাই হলো। বৃহস্পতিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনে অলআউট হয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ৫০৩ রান।
দশম উইকেটে ৫১ রানের জুটি গড়েন রুবেল হোসেন এবং জুবায়ের লিখন। এরপর ব্যাট করতে নেমে বেশ জবাব দিচ্ছে জিম্বাবুয়ে। সিকান্দার রাজা ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা পথ দেখাচ্ছেন। তাইতো বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে তাদের রান ১ উইকেট হারিয়ে ১১৩।
রাজা ৫৪ ও হ্যামিল্টন ৫১ রানে ব্যাট করছেন।
এর আগে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকালে ২ উইকেটে ৩০৩ রান নিয়ে খেলা শুরু করে বাংলাদেশ।
আরো একবার ব্যর্থ হলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। তিনি ফিরে যান ১৫ রানে।
তবে আরো একটা বড় ইনিংস খেললেন সাকিব আল হাসান। ৭১ রান করেন তিনি। ৩ উইকেট নেন জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা।
এর আগে চট্রগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ও ইমরুল উড়িয়ে দেন জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমন। দলকে নিয়ে যান নিরাপদে। শামসুর রহমানের জায়গায় দলে ফিরে ইমরুল দেখিয়ে দিলেন যোগ্যতার পরিধি। অন্যদিকে তামিম ফর্মেই ছিলেন। খুলনায় পেয়েছিলেন শতরান। তার রেশ থাকল নিজের শহরে।
টানা দুই টেস্টে শতরান পেলেন তামিম। সেঞ্চুরি পেলেন ইমরুলও। ৬৩.৫ ওভার খেলে ওপেনিং জুটিতে তারা করেন ২২৪ রান। বাংলাদেশের এটাই প্রথম দুইশ’ রানের উদ্বোধনী জুটি।
তামিম ফিরে যান ১০৯ রান করে। খেলেন ১৭১ বল। এটি তার ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি। তাতেই দেশের সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ আশরাফুলের রেকর্ড স্পর্শ করলেন তিনি।
ইমরুল ফিরে যান ১৩০ রানে। যা কীনা তার দ্বিতীয় টেস্ট শতরান। খেলেন ২৫৭ বল।
তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। লক্ষ্য এখন জিম্বাবুয়েকে ধবল ধোলাই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ১ম ইনিংসে ৫০৩/১০ (তামিম ১০৯, ইমরুল ১৩০, মুমিনুল ৪৮, সাকিব ৭১, মুশফিক ১৫, শুভাগত ৩৫, তাইজুল ১, শফিউল ১০, রুবেল ৪৫*, জুবায়ের ৫; রাজা ৩/১২৩, হ্যামিল্টন ২/২৩)
জিম্বাবুয়ে: ১ম ইনিংসে ১১৩/১ (রাজা ৫৪*, চারি ০, হ্যামিল্টন ৫১*; রুবেল ১/২৭)
####
################
তামিম-ইমরুলের সেঞ্চুরি, রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
স্বপ্নের মতো বেকটা দিন কাটল বাংলাদেশের। চট্রগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনই শতরান তুলে নিলেন দুই ওপেনার। গড়েন রেকর্ড রানের জুটি। আর তাতেই তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে ১ম ইনিংসে বাংলাদেশের রান ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৩।
মমিনুল হক ৪৬ ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৫ রানে ব্যাট করছেন।
এর আগে চট্রগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ও ইমরুল উড়িয়ে দেন জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমন। দলকে নিয়ে যান নিরাপদে। শামসুর রহমানের জায়গায় দলে ফিরে ইমরুল দেখিয়ে দিলেন যোগ্যতার পরিধি। অন্যদিকে তামিম ফর্মেই ছিলেন। খুলনায় পেয়েছিলেন শতরান। তার রেশ থাকল নিজের শহরে।
টানা দুই টেস্টে শতরান পেলেন তামিম। সেঞ্চুরি পেলেন ইমরুলও। ৬৩.৫ ওভার খেলে ওপেনিং জুটিতে তারা করেন ২২৪ রান। বাংলাদেশের এটাই প্রথম দুইশ’ রানের উদ্বোধনী জুটি।
তামিম ফিরে যান ১০৯ রান করে। খেলেন ১৭১ বল। এটি তার ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি। তাতেই দেশের সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ আশরাফুলের রেকর্ড স্পর্শ করলেন তিনি।
ইমরুল ফিরে যান ১৩০ রানে। যা কীনা তার দ্বিতীয় টেস্ট শতরান। খেলেন ২৫৭ বল।
তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এখন জিম্বাবুয়েকে ধবল ধোলাইয়ের অপেক্ষায় মুশফিকের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ১ম ইনিংসে ৩০৩/২ (তামিম ১০৯, ইমরুল ১৩০, মুমিনুল ৪৬*, মাহমুদুল্লাহ ৫*; হ্যামিল্টন ১/৩, রাজা ১/৭৪)
Discussion about this post