যে মেজাজে ছিল টাইগাররা, মনে হচ্ছিল ১৩১ রান তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেবে। অনেকটা অনায়াসেই হয়তো জয়ের বন্দরে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ। কিন্তু জিম্বাবুয়েকে হারাতে কষ্ট হল। হারাতে হলো ৬ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ১৭.৪ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
৪ উইকেটের জয়ে ২ ম্যাচে টি-টুয়েন্টি সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
অবশ্য জয়ের পথটা তৈরি করে দিয়েছেন বোলাররা। তারা বেধে রেখেছিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের। না হলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেভাবে উইকেটে আসা-যাওয়ার খেলায় মেতেছিলেন তাতে ভিন্ন কিছুও হয়ে যেতে পারতো!
ক্রিজে কিছুক্ষণ থেকেই সাজঘরের পথ ধরেছেন স্কীকৃত ব্যাটসম্যানরা। ফিরে আসেন তামিম ইকবাল (৩১ রান), নাসির হোসেন (১৬), মুশফিকুর রহীম (২), সাব্বির আহমেদ (১৮), এনামুল হক বিজয় (১) এবং লিটন দাস (১৭)।
তবে ওয়ানডেতে ফর্ম খুঁজে পাওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছিলেন ছন্দে। তিনি অপরাজিত ছিলেন ২২ রানে। মাশরাফির ব্যাটে ১৫ রান।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে জেতেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান জিম্বাবুয়েকে। ১৯.৩ ওভারে সফরকারীরা অলআউট হয়ে তুলে ১৩১ রান।
ম্যালকম ওয়ালার ছাড়া জিম্বাবুয়ের কোন ব্যাটসম্যানই ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন নি। ৩১ বলে ৬৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি।
অন্যদিকে মাশরাফি, জুবায়ের হোসেন, আল আমিন হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান নেন দুটি করে উইকেট। একটি শিকার করেন নাসির হোসেন এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
Discussion about this post