ঢাকা টেস্টে রোমাঞ্চের বাতাস উড়ে বেড়াচ্ছে! জয়ের পথ খোলা দুই দেশের জন্যই। আর বৃষ্টি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে খেলার ফলটা যে এসে যেতে পারে চতুর্থ দিন চা বিরতির আগেই! মঙ্গলবার ২য় ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হয় ২২১ রানে। তারপর টেস্ট জিততে অস্ট্রেলিয়ার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৬৫ রান। জবাব দিতে নেমে ২য় ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান করেছে অজিরা। তাদের জিতে চাই ১৫৬ রান। বাংলাদেশের উৎসবে মাততে দরকার ৮ উইকেট!
এর আগে তামিম ইকবালের ব্যাটে বেশ ভাল এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। মনে হচ্ছিল বড় লিড নিতে যাচ্ছে স্বাগতিকরা। কিন্তু এই ওপেনার ৭৮ রান করে ফিরে যেতেই বালির বাধের মতো ভেঙ্গে যায় টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ।
তামিম এনিয়ে এক টেস্টে ৬ বারের মতো জোড়া হাফসেঞ্চুরি করলেন। তাতেই অনন্য এক রেকর্ড স্পর্শ করেন তিনি। এই রেকর্ড এতোদিন একাই ছিল হাবিবুল বাশার সুমনের। ৫০ টেস্টের ক্যারিয়ারে সাবেক অধিনায়কও ৬ বার এক টেস্টে জোড়া হাফসেঞ্চুরি করেছেন। তামিম সমান টেস্ট খেলে এই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন।
তিনি অধিনায়ক মুশফিকের সঙ্গে গড়েন ৬৮ রানের জুটি ৭৮ রান করতে গিয়ে খেলেন ১৫৫ বল, মারেন ৮ বাউন্ডারি। ১ম ইনিংসে তিনি খেলেন ৭১ রানের দারুণ এক ইনিংস।
আগের ইনিংসের হাফসেঞ্চুরিয়ান সাকিব আল হাসান ফিরেন মাত্র ৫ রানে। আর মুশফিক ১১৪ বলে ৪১ করে রানআউট। উইকেট পতনের বন্যায় এক পর্যায়ে বাংলাদেশ ১৮৬/৫ থেকে ১৮৬/৮!
শেষদিকে মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ২৬ রাননায়ান লায়ান ৩৪.৩ ওভারে ৮৬ রান দিয়ে নেন ৬ উইকেট। দুই উইকেট অ্যাস্টন অ্যাগারের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৭৮.৫ ওভারে ২৬০/১০ ও ২য় ইনিংস: ৭৯.৩ ওভারে ২২১ (তামিম ৭৮, সৌম্য ১৫, তাইজুল ৪, ইমরুল ২, মুশফিক ৪১, সাকিব ৫, সাব্বির ২২, নাসির ০, মিরাজ ২৬, শফিউল ৯, মুস্তাফিজ ০; হেজেলউড ০/৩, কামিন্স ১/৩৮, লায়ন ৬/৮২, ম্যাক্সওয়েল ০/২৪, অ্যাগার ২/৫৫, খাজা ০/১)
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৭৪.৫ ওভারে ২১৭/১০ ও ২য় ইনিংস ৩০ ওভারে ১০৯/২ (ওয়ার্নার ৭৫*, রেনশ ৫, খাওয়াজা ১, স্মিথ ২৫*; মিরাজ ১/৫১, নাসির ০/২, সাকিব ১/২৮, তাইজুল ০/১৭, মুস্তাফিজ ০/৮)
Discussion about this post