ঈদের ছুটি শেষ। কেটে গেল ১০ দিন। প্রিয়জনের সঙ্গে নিজ নিজ বাড়িতে ঈদ করে আবার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জাতীয় দলের। যদিও বেশিরভাগ ক্রিকেটার নেই। ‘এ’ ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে বিদেশে। হাতেগোনা ক’জন ক্রিকেটারকে নিয়ে আবার প্রস্তুতি শুরু করেছেন কোচ শেন জারগেনসন।
ছুটি শেষে রোববার অনুশীলনে এসে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বাবা-মার সঙ্গে বগুড়ায় ঈদ করা মুশফিক রাজধানীতে ফিরেছেন খুশিমনে-‘পরিবারের সঙ্গে ঈদ তো সবসময়ই ভালো কাটে। এবার ছুটি বেশ লম্বা ছিল, তাই বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গেও ভালো সময় কাটাতে পেরেছি।’
নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে হোম সিরিজের প্রস্তুতি সম্পর্কে তার কথা, ‘ঈদের আগে স্কিল ট্রেনিং কম হয়েছে, কন্ডিশনিং বেশি হয়েছে। এখন স্কিল বেশি হবে। আমরা নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে হোমওয়ার্ক করেছি, সেভাবেই কাজ করতে চাইছি। তাদের তিন-চারটা বাঁহাতি পেসার আছে। এজন্য অনুশীলনে বাঁহাতি পেস খেলায় জোর দিচ্ছি। যদিও এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত বাঁহাতি পেসার নেই আমাদের হাতে। তবে বাইরে থাকা তিন দল দেশে ফিরলে বেশ কয়েকজন বাঁহাতি পেসার পাব। তারা ক্যাম্পে থাকবে। আশা করি অনুশীলন তখন ভালো হবে।’
ম্যাচ ফিক্সিং, নির্বাচন, টি-টুয়েন্টির ভেন্যু জটিলতা নিয়ে ক্রিকেটারদের মনোযোগ নষ্ট হওয়ার জন্য যথেষ্ট-মুশফিকও তাই মনে করেন। আর সে কারণেই মুখে এমন কথা, ‘মনোযোগ নাড়িয়ে দিয়েছে অবশ্যই। তবে আমাদের সামনে বড় একটা সিরিজ আছে। আমরা এখন সেটিতেই মনোযোগ দিচ্ছি। নিউজিল্যান্ড সম্প্রতি অনেক ভালো ক্রিকেট খেলছে। সর্বশেষ ইংল্যান্ডে গিয়ে ইংলিশদের হারিয়েছে। যা অনেক বড় ব্যাপার। আমরা ক্রিকেটেই সবটুকু ঢেলে দিতে চেষ্টা করছি। আর আশা করছি সব সমস্যা যেন দ্রত সমাধান হয়। আমাদের ক্রিকেটের যে ভালো একটা পরিবেশ ছিল, সেটা যেন ফিরে আসে।’
ম্যাচ ফিক্সিং প্রসঙ্গে তার ব্যাখ্যা-‘আগেও বলেছি নতুন করে খুব বেশি কিছু বলার নেই। খুব দুঃখ পেয়েছি। একই সঙ্গে এটাও বলছি, কেউ দোষী হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। বয়সভিত্তিক থেকে শুরু করে সব পর্যায়েই সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত।’
নতুন করে রবিন আর রুবেলদের নাম উঠে এসেছে। যা বাংলাদেশ অধিনায়ককে দুঃখ দিচ্ছে। তার মন খারাপ হচ্ছে। বললেন, ‘অবশ্যই খুব খারাপ লেগেছে। আপনার সহকর্মীদের কেউ এসব কিছুতে জড়িত থাকলে খারাপ লাগারই কথা। তবে মনে রাখতে হবে ক্রিকেটে এসব এটাই প্রথম নয়। অনেক বড় বড় নামও এর আগে এসবের সঙ্গে জড়িত ছিল। আমাদের এখানে হয়তো এই প্রথম। তবে যত তাড়াতাড়ি এসব শেষ হয়, স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসে, ততই ভালো।’
ম্যাচ-স্পট ফিক্সিং দেশের ক্রিকেটের গায়ে আঁচড় এঁকে দিয়েছে। অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার সঙ্গে অনৈতিক কাজকর্ম যোগ হওয়ায় বিপিএল এখন রীতিমতো বিষফোঁড়া হয়ে গেছে। প্রশ্ন উঠেছে, এত কিছুর পরও বিপিএল হওয়া উচিত কি না?
কিন্তু মুশফিক মনে করেন বিপিএল হওয়া উচিত। বলেন, ‘দেখুন, বিপিএলের ফিক্সিং আর পেমেন্ট ছাড়া খেলার স্ট্যান্ডার্ড যেটা ছিল তাতে কিন্তু অনেক উপকৃত হয়েছি আমরা। ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই অনেক উন্নতি করেছে। আমরা অবশ্যই চাই বিপিএল চলুক।’
Discussion about this post