গ্লোবাল সুপার লিগে অভিষেক ম্যাচেই চমক দেখিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দলকে এনে দিয়েছিলেন জয়। কিন্তু সেই ঝলক আর ধরে রাখতে পারলেন না। টানা দুই ম্যাচে ব্যাটে-বলে নিষ্প্রভ পারফরম্যান্সে তার দল দুবাই ক্যাপিটালস মুখ থুবড়ে পড়ছে হারের মিছিলে।
আজ সোমবার সকালে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৫৭ রানে হেরে যায় দুবাই। মাত্র ১৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে তারা অলআউট হয়ে যায় ৮১ রানে। ব্যাটিং ব্যর্থতার মূলে ছিলেন দলের অভিজ্ঞতম তারকা সাকিবও। মইন আলির বলে ৪ রান করে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এর আগে বোলিংয়েও খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেননি-৪ ওভারে ২১ রান দিলেও উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি।
দুবাইয়ের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে সাকিব খেলেছিলেন ৩৭ বলে অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংস এবং বল হাতে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। সেই ম্যাচে দল জেতে এবং সাকিব জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। কিন্তু এরপর হঠাৎ করেই যেন ছন্দ হারিয়ে ফেলেছেন বাংলাদেশের এই তারকা। হোবার্ট হারিকেন্সের বিপক্ষে ৩৪ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থেকে ৭ রানে আউট হন। এরপর গায়ানার বিপক্ষে আরও একবার ব্যর্থতা।
সবশেষ ১১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে ৭টিতে দুই অঙ্কের রান ছুঁতে পারেননি সাকিব। বল হাতেও একই হতাশা-৮ ম্যাচে কোনো উইকেট নেই তার ঝুলিতে।
তবে ব্যর্থতার মাঝেও গায়ানার বিপক্ষে তার বোলিং কিছুটা আশা জাগায়। টানা চার ওভারে বোলিং করে মিতব্যয়ী ছিলেন, বিশেষ করে সপ্তম ওভারে শুরু করে একটানা স্পেল শেষ করেন মাত্র ২১ রান খরচায়। কিন্তু উইকেট না পাওয়ার হতাশা থেকেই যায়।
এদিকে দুবাইয়ের ব্যাটিং লাইনআপও পুরোপুরি ভেঙে পড়ে গায়ানার বিপক্ষে। ইমরান তাহিরের ঘূর্ণিতে মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ছন্দপতন ঘটে। একমাত্র সাকিবই হ্যাটট্রিক বল বাঁচিয়ে এক বাউন্ডারি মারেন, কিন্তু তাতেও ম্যাচের গতিপথ বদলায়নি।
তিন ম্যাচে এক জয় নিয়ে দুবাই এখন পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে। পরবর্তী ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স। সেই ম্যাচে জয় ছাড়া বিকল্প নেই-দলের জন্য যেমন, তেমনি সাকিবের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার জন্যও।
Discussion about this post