বুধবার শুরু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট। দুই দলের দুটি টেস্ট ম্যাচ হবে ক্যান্ডির অদূরে পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ২১ এপ্রিল, বুধবার থেকে কান্ডির পাল্লেকেলেতে শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম টেস্ট। একই ভেন্যুতে ২৯ এপ্রিল শুরু সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
তার আগে মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন মুমিনুল হক। যেখানে কথা বলেন নানা প্রসঙ্গে।
সাকিবের মত সিনিয়র খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতি…
সাকিব বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার। যেকোনো ফরম্যাটে দলের জন্য অনেক কার্যকরী ক্রিকেটার। আমার দলের ক্ষেত্রেও একই। তিনি দলে না থাকলে কম্বিনেশন নিয়ে কিছুটা সংগ্রাম করতে হয়। অবশ্যই আমরা তাকে মিস করব। তবে দলে যেই আছে, সবার ভালো করার সামর্থ্য আছে। সাকিবের জায়গায় যেই আসবে তার জন্য দলে অবদান রাখার এটা ভালো সুযোগ।
পিচ কিউরেটর উইকেটে কিছু ঘাস রেখে দিয়েছেন। পেস বোলিং কি বড় ভূমিকা রাখবে? নাকি স্পিনাররাই
মাঝেমাঝে ম্যাচের আগে এসব অনুমান করা যায় না। আমি কাল বা তার পরদিন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব। তবে আমার মনে হয় পেসাররাই এই ম্যাচে বড় ভূমিকা রাখবে।
প্রস্তুতি প্রসঙ্গে
বাংলাদেশে থাকতেও বলে এসেছি- বলব না খুব ভালো প্রস্তুতি। তবে এখনকার যে পরিস্থিতি সেই অনুযায়ী ভালো প্রস্তুতিই হয়েছে। প্রস্ততি ম্যাচ খেলেছি, অনুশীলন করেছি, আজকেও করব। দেশের জন্য আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে গেলে কিছু পরিস্থিতি আসবে যেগুলোতে আপনাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। এসব নিয়ে বেশি চিন্তা না করে, যদি ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী থাকে এটাই গ্রহণযোগ্য হবে।
ফল কী হওয়া উচিৎ, কতটা চাপে আছেন..
চাপ যদি বলেন, আমি তো কোনো চাপে নেই। আমার দলও কোনো চাপে নেই। আমরা এখানে এসেছি ম্যাচ জেতার জন্য। পুরোপুরি চেষ্টা করব ম্যাচ জেতার, এটাই। অবশ্যই শ্রীলঙ্কা ভালো অবস্থানে আছে। আমরা শেষ দুইটা টেস্ট ভালো খেলতে পারিনি। কিন্তু আগেও বলেছি- ক্রিকেটে অতীত নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই। যদি প্রসেস ঠিক থাকে, ৫ দিন ভালো খেলি ইনশাআল্লাহ জয় পাব।
নিজের ব্যাটিং, দেশের বাইরে ব্যাটিং নিয়ে কথা ওঠে
অধিনায়ক হিসেবে সবসময় চাই ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করবে। ফিল্ডাররা শতভাগ চেষ্টা করবে। আমার ব্যাটিং পজিশন নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যখন খেলবেন, হয়ত আপনার আশা পূরণ করতে পারব না। তখন এসব কথা হবেই। এসব কথা আমি নিতে পারি কি না এটার উপর নির্ভর করে। আমি সবসময় চেষ্টা করি, দেশে খেলি বা বিদেশে খেলি, দলের জন্য শতভাগ কন্ট্রিবিউট করার চেষ্টা করি।
পেস বোলাররা গুরুত্বপূর্ণ হলে, কাদের উপর নির্ভর করছেন…
যারা আগে খেলেছে তারাই তো সবচেয়ে বেশি ডিপেন্ডেবল আমার কাছে মনে হয়। রাহী, এবাদত, তাসকিন। তারপর যদি বলেন শরিফুল, খালেদ, শহিদুল… ৫-৬ জন যারা আছে আমার কাছে মনে হয় ওরাই সবচেয়ে ডিপেন্ডেবল, যারা রেগুলার খেলছে।
বোলিং অ্যাটাক পেস নির্ভর হবে কি?
হ্যাঁ আমাদের বোলিং অ্যাটাক পেস নির্ভর হবে। আমাদের আধিক্য এতে কম হবে না আশা করি। পেসারদের প্রতিযোগিতাই বেশি হবে।
বাস্তবতা বলছে এই সিরিজের পর কোচ-অধিনায়কের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে…
আমি শ্রীলঙ্কায় এসেছি, মাঠে নামব, বোলার বল করবে, আমি ব্যাটিং করব, আর আমার বোলাররা বল করবে, ওদের ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করবে, আমাদের ফিল্ডাররা ফিল্ডিং করবে। আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলব। আমি আসলে এসব নিয়েই কনসার্ন। আপনি যেগুলা বললেন এগুলা নিয়ে কনসার্ন না। একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমার কাছে মনে হয় এসব নিয়ে এত ভাবার দরকার নেই।
আমরা কি জিততে সক্ষম
আশার তো কোনো শেষ নেই। আশা তো সবসময় থাকতে হবে। আপনি এই জায়গায় এসেছেন শুধু অংশ নিতে- তাহলে তো হবে না। এই জায়গায় যদি শুধু অংশ নিতে আসেন তাহলে ক্রিকেট না খেলাই ভালো আমার মতে। যেখানেই যান, যত খারাপ পরিস্থিতি থাকুক- অবশ্যই জেতার আশা থাকতে হবে, স্পৃহা থাকতে হবে। এটা নিয়েই আমরা মাঠে নামব।
স্পেশালিস্ট কিপার নিতে চান, সেক্ষেত্রে নতুন কাউকে নেওয়ার সুযোগ আছে কি না, আর জয়ের মুখ থেকে দুই টেস্ট হারার পর কনফিডেন্স কোথায় আছে
আত্মবিশ্বাস তো সবসময় আছে। ভালো আত্মবিশ্বাস আছে। আমি সবসময় বলি- আগে যা হয়ে গেছে এটা নিয়ে চিন্তা করতে পারবেন না কি হবে না হবে। ইতিবাচক কিছু থাকলে হয়ত নিতে পারেন। নতুন করে কালকে টেস্ট শুরু করব, নতুন একটা দিন। নতুন দিনে আমার প্রসেস ঠিক রাখার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আর আপাতত একাদশ ঠিক করা হয়নি। কাল সকালে উইকেট দেখে স্পেশালিস্ট কিপার খেলানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Discussion about this post