ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
যেন একটি অধ্যায়ের ইতি ঘটল। বিখ্যাত ‘থ্রি ডব্লিউজ’-এর সবচেয়ে বড় স্যার ফ্রাঙ্ক ওরেল (১৯২৪-১৯৬৭) চলে যান সবার আগে। তারপর বিদায় নেন কণিষ্ঠতম স্যার ক্লাইড ওয়ালকট (১৯২৬-২০০৬)। এবার তাদের সঙ্গী হলেন মেজ সদস্য স্যার এভারটন উইকস।
বুধবার ৯৫ বছর বয়সে শেষ বিদায় নিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি উইকস। স্যার ক্লাইড ওয়াকট ও স্যার ফ্রাঙ্ক ওয়ারেলের সঙ্গে মিলে উইকস গড়ে তুলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিধ্বংসী ব্যাটিং ইউনিট।
বাধ্যর্কজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। গত বছর হ্যার্ট অ্যাটাকের পর এই কিংবদন্তিকে রাখা হয় নিবিড় পর্যবেক্ষণে। কিন্তু ফিরতে পারলেন না টেস্টে টানা পাঁচ ইনিংসে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া উইকস। বিদায় নিলেন ক্রিকেটের বরপুত্র।
ব্রিজটাউনে ‘থ্রি ডব্লিউজ’ ওভালে সমাহিত আছেন ওরেল ও ওয়ালকট। সেখানে উইকসকে সমাহিত করা হবে কি না এখনো ইঙ্গিত মেলেনি। উইকসের জন্য জায়গা রাখা আছে থ্রি ডব্লিউজ ওভালে।
স্যার এভারটন উইকসের জন্ম ১৯২৫ সালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪৮ টেস্টে ৫৮.৬১ গড়ে ১৫ সেঞ্চুরি করেন তিনি্ ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩ বছর বয়সে অভিষেক। সে বছরই ইংল্যান্ড ও ভারত মিলিয়ে টানা পাঁচ ইনিংসে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন উইকস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ে বিখ্যাত ওরেল, ওয়ালকট ও উইকসকে একসঙ্গে ডাকা হতো ‘থ্রি ডব্লিউজ’ নামে। তিন লিজেন্ডের মধ্যে সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন উইকস। বার্বাডোজে তাদের জন্ম ১৮ মাসের ব্যবধানে। ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক সিরিজে অভিষেক হয় তাদের।
তিন ডব্লিউজ-এর মধ্যে ‘নাইট’ মানে স্যার উপাধি খেতাব পান সবার শেষে, ১৯৯৫ সালে। বিদায় নিলেন সবার শেষে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড এই লিজেন্ডের মৃত্যুতে শোকাহত। তারা জানাচ্ছে-, ‘একজন আইকন হারিয়ে আমাদের হৃদয় শোকাহত। একজন কিংবদন্তি, আমাদের নায়ক, স্যার এভারটন উইকস। তার পরিবার, বন্ধু আর বিশ্বজুড়ে অসংখ্য ভক্তের প্রতি সহমর্মিতা জানাই।’
শ্রদ্ধা স্যার এভারটন উইকস!
Discussion about this post