ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ইডেনের সবুজ উইকেট, গোলাপি বলের জটিল আচরণ, আগে কখনো রাতে টেস্ট না খেলা আর ইন্দোর টেস্টে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স। ইডেন টেস্টের আগেই এগুলোয় সামনে চলে আসছে টাইগারদের। তবে এ ব্যাপারগুলো নিয়ে মোটেও ভাবছেন না মুমিনুল হক। উল্টো তিনি নিজেদের প্রথম গোলাপি বলের টেস্টে ভালো করতে কিছু মন্ত্র দিয়েছেন।
গোলাপি টেস্টে শট নির্বাচন, ধৈর্য ও প্রতিটি বলে শতভাগ মনোযোগ। বাংলাদেশ অধিনায়কের বিশ্বাস, ভাগ্য বদল করতে এই ব্যাপারগুলো ঠিকঠাক থাকলেই হবে। শুক্রবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ইডেনে সেগুলো করতেই নামবে টিম বাংলাদেশ।
ইন্দোর টেস্টে বাংলাদেশ দেখাতে পারেনি চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তা। মাটি কামড়ে পড়ে থেকে দলকে এগিয়ে নেওয়ার মানসিকতা দেখা যায়নি প্রায় কারোর মাঝে। দল হেরেছিল ইনিংস ও ১৩০ রানে।
গোলাপি বল আর ইডেন গার্ডেনের উইকেট বাংলাদেশের আরেকটি বিব্রতকর হারের আভাস দিচ্ছে। তবে খেলা শুরুর আগেই নিজেদের পিছিয়ে রাখতে রাজি নন মুমিনুল, ‘আমার মনে হয়, প্রতিটি বলে শতভাগ মনোযোগী থাকতে হবে। কিছু কিছু শট সিলেকশন নিয়ে আমাদের দুর্ভাবনা আছে। এই ব্যাপারে আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে। আমাদের মানসিকভাবে আরও বেশি প্রস্তুত থাকতে হবে। ওদের তিন জন খুব ভালো পেসার আছে, তাদের সামলাতে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।’
ইডেন টেস্টের আগে সেযব চ্যালেঞ্জ আসছে তা জয় করতে নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর সুযোগ হিসেবে দেখতে চান মুমিনুল, ‘ফ্লাড লাইটে খেলার চ্যালেঞ্জ আছে। আবার ওদের বোলারদের খেলারও চ্যালেঞ্জ আছে। আমার মনে হয়, এই সব চ্যালেঞ্জ ইতিবাচকভাবে নেওয়াই ভালো। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভারতীয় বোলারদের খেলা অবশ্যই চ্যালেঞ্জ। তিন জন বিশ্ব মানের পেসারের বিপক্ষে খেলছেন, এটা শুধু আমাদের জন্য না সব দলের জন্যই চ্যালেঞ্জিং।’
ইন্টোর থেকে কলকাতায় পা রাখার পর থেকেই অনেকেই বলছেন এ টেস্টেও শেস হবে তিন দিনে। আসলেই কি তাই। মুমিনুল অবশ্য তেমনটি মনে করেন না। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে অনেকটা হেসেই টাইগার টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি বলতে পারি না খেলা তিন দিনে শেষ হবে! ঘাস থাকলেই যে খেলা তিন দিনে শেষ হবে এমন কোনো কথা নেই। হয়তো ঘাস থাকার পরও শক্ত উইকেটের জন্য বল ভালোভাবে ব্যাটে আসতে পারে। কিউরেটর স্পোর্টিং উইকেটের কথা বলেছেন। আমার মনের হয় স্পোর্টিং উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো।’
শক্তিমত্তায় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকলেও এই একটি জায়গায় এক বিন্দুতে মিলে যাচ্ছে। দুই দলের অভিজ্ঞতা নেই গোলাপি বলের টেস্ট খেলার। প্রথমবারের মতো বলেই কলকাতায় দিবারাত্রির টেস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে অন্যরকম আগ্রহ, উন্মাদনা, উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ। দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে ক্রিকেট কিংবদন্তি, অন্য খেলার তারকাদের উপস্থিতি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কী থাকছে না!
উপমহাদেশের প্রথম গোলাপি বলের টেস্ট নিয়ে চারিদিকে বিপুল উৎসাহ-উন্মোদোনা তৈরি হয়েছে। ব্যাপারটি কি চাপ মনে হচ্ছে মুমিনুলদের কাছে? এ ব্যাপারে অবশ্য টাইগার অধিনায়ক বললেন, ‘বাইরে কি হচ্ছে না হচ্ছে পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে এটা আমাদের প্রভাবিত করবে বলে মনে হয় না। এই চাপ আসাও উচিত না। যে যার কাজ ঠিকমতো করছি। চাপ আসার কোনো সুযোগ নেই।’
Discussion about this post