ভোররাতে এসে দুপুরের অনুশীলন সেশনে চলে এসেছেন নেদারল্যান্ডসের গোলকিপিং কোচ কিস কাল্ক। তিন গোলকিপার বিপ্লব ভট্টাচার্য, মামুন খান ও সোহেলকে নিয়ে প্রথম সেশনে বেশ ঘাম ঝরাতে দেরি করেননি। প্রথম দিনেই খুঁটিনাটি নানান দিক নিয়ে দীক্ষা দিলেন ৫৫ বছর বয়সী এ গোলকিপার কোচ। আর কিস কাল্কই হচ্ছেন বাংলাদেশে প্রথম কোনো বিদেশি গোলকিপিং কোচ।
বাফুফে ভবনের টার্ফে তিনজনকে নিয়ে নানান দিক তো দেখালেন, এর সঙ্গে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে ম্যাচও হল। ডাচ এ গোলকিপিং কোচ পালাক্রমে তিনজনকে কোন সময়ে উঠে আসতে হবে, বল গ্রিপে আনতে হবে; ম্যাচের ফাঁকে ফাঁকে তা দেখিয়ে দিলেন। অনুশীলন শেষে বললেন, ‘গোলকিপারদের সঙ্গে আমার প্রথম দিন। এখনই সব কিছু বলা কঠিন কে কেমন গোলকিপার। তবে একটা বিষয় বলতে পারি, গোলকিপারদের অনেক কিছু বলার আছে; যা আগে হয়তো তারা শোনেনি। কিংবা অনুশীলনে পায়নি।’
গোলকিপারদের দুটি গুণের কথা বেরোল তার কণ্ঠ দিয়ে-‘প্রথমত আগে থেকে অনুমান করতে হবে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা বল নিয়ে কী করতে পারে। অন্যটি প্রতিক্রিয়া দেখানো। যা দ্রুত করতে হবে। আমি মনে করি এখানকার গোলকিপারদের সব কিছু করে দেখানোর ক্ষমতা আছে। আমি সেটাই তাদের মধ্যে দেখতে চাই।’
সাফ ফুটবলের বাকি আছে সপ্তাহ দুই। অল্প সময়ে কতটুকু উন্নতি সম্ভব। জবাবে এ ডাচ বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে বলা কঠিন। গোলকিপারদের পারফরম্যান্স শুধু তার একার নয়, সম্মিলিত। সবাইকে এক হয়ে খেলতে হবে। তবে আমার লক্ষ্য থাকবে তাদের টেকনিক আরও বাড়ানোর। যতটুকু সম্ভব।’
অভিজ্ঞ গোলকিপার বিপ্লব ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘প্রথম শেসনে আমরা অনেক কিছুই নতুন দেখেছি। আগে খেলোয়াড়ি জীবনে পাইনি। বলতে লজ্জা নেই, মনে হচ্ছে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারব। যা সাফ ফুটবলে কাজে লাগবে।’
Discussion about this post