বাংলাদেশ ক্রিকেটের কিংবদন্তি মুশফিকুর রহিম বিদায় জানালেন ওয়ানডে ক্রিকেটকে। প্রায় দুই দশকের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘটলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টের মাধ্যমে। তবে মাঠ থেকে সরাসরি বিদায় নিতে না পারলেও আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে সতীর্থদের কাছ থেকে গার্ড অব অনার পেয়েছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
আজ বৃহস্পতিবার মোহামেডানের হয়ে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে মাঠে নামেন মুশফিক। ম্যাচের আগে সতীর্থরা তাকে গার্ড অব অনার দিয়ে সম্মান জানান। জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের সতীর্থ তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং মেহেদী হাসান মিরাজও ছিলেন সেখানে।
এটা ছিল তার জন্য এক আবেগঘন মুহূর্ত। এতদিন যেই মাঠ ছিল তার যুদ্ধক্ষেত্র, সেই মাঠেই সতীর্থদের শ্রদ্ধার মধ্যে দিয়ে বিদায় নেওয়া যেন কিছুটা হলেও পূরণ করল আনুষ্ঠানিকতার অভাব।
২০০৬ সালে ওয়ানডে অভিষেকের পর মুশফিক বাংলাদেশের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান হয়ে উঠেছেন।
# ২৭৪ ওয়ানডে ম্যাচ (বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ)
# ৭,৭৯৫ রান (বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ)
# ৯টি সেঞ্চুরি (তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ)
# ৩৬.৪২ গড় ও ৭৯.১১ স্ট্রাইক রেট
সংখ্যাগুলো তার অর্জনের গল্প বলে। কিন্তু তার নিবেদন, পরিশ্রম আর লড়াইয়ের মানসিকতা তাকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গেছে।
বুধবার ফেসবুকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে মুশফিক লিখেছেন, ‘আজ আমি ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করছি। আলহামদুলিল্লাহ, সব কিছুর জন্য কৃতজ্ঞ। যদিও বৈশ্বিকভাবে আমাদের অর্জন সীমিত, তবে আমি নিশ্চিত, যখনই দেশের জন্য মাঠে নেমেছি, নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে শতভাগের বেশি দিয়েই খেলেছি।’
তার বিদায়ের খবরে ক্রিকেটপ্রেমীরা যেমন আবেগপ্রবণ হয়েছেন, তেমনি সতীর্থরাও তার অবদানের কথা স্মরণ করেছেন। মুশফিকের এই বিদায় শুধুই এক ফরম্যাট থেকে। টেস্ট ক্রিকেটে আরও কিছুদিন খেলে যাবেন তিনি।
Discussion about this post