মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উইকেট দেখলেই অনেক ব্যাটারই মুখ ঘুরিয়ে নেন। কারণ এটা সেই উইকেট যেখানে ১৩০ রান তাড়া করাও প্রায় যুদ্ধের নামান্তর। আর এই দৃশ্যপটের একমাত্র স্থায়ী পরিচালক শ্রীলঙ্কান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা।
২০১০ সাল থেকে বিসিবির সঙ্গে কাজ করছেন তিনি, এক রকম ‘অবিসংবাদিত শাসক’ হিসেবে। কিন্তু গত কিছু বছর ধরে ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটের ঘাটতি নিয়ে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছেন ক্রমাগত। একপর্যায়ে বিসিবির ভেতর থেকেও উঠেছে প্রশ্ন-‘গামিনির সময় কি শেষ?’
সম্প্রতি ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম স্বীকার করলেন, গামিনির বিকল্প খোঁজা শুরু হয়েছে। তবে চুক্তি নবায়ন করে বিসিবি যেন এক পা সামনে আবার এক পা পেছনেও রেখেছে।
ফাহিম বলছিলেন, ‘অবশ্যই বিকল্প খোঁজার কাজ চলছে। আমরা চাই এমন উইকেট যেখানে ব্যাটাররা আত্মবিশ্বাস পাবে, রান হবে।’
আসন্ন নেদারল্যান্ডস সিরিজে ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি পরিবেশ গড়তে চায় বিসিবি। আবুধাবির উইকেটের আদলে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামকে সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে বিবেচনায় এনেছে বোর্ড। ফাহিম বলেন, ‘সিলেটে অন্তত ১৭০-১৮০ রানের উইকেট চাই। সম্ভব হলে ২০০ রান। ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেট বানানো যায়, এটা আমি নিজে গিয়ে দেখে এসেছি।’
গামিনির ‘স্লো, টার্নিং ট্র্যাক’ বরাবরই হয়েছে বিদেশিদের জন্য ভয়, আর ব্যাটসম্যানদের জন্য অভিশাপ। বাংলাদেশ মাঝে মাঝে শক্তিশালী দলকে হারালেও, টেকসই উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এ ধরনের উইকেট।
গামিনির মাসিক বেতন প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা। এ অবস্থায় এত সমালোচনার পরও এতদিন ধরে তার টিকে থাকা বিস্ময়কর!
Discussion about this post