ফের মাঠে গড়াল ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ। বৃহস্পতিবার বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স মুখোমুখি হয় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। ম্যাচে সহজেই ৯ উইকেটে জিতল গাজী ট্যাংক। শতরান করেছেন দলের উসমান তারিক এবং ইমরুল কায়েস।
সকালে ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শেখ জামাল ৪৭.১ ওভারে অলআউট হয়ে তুলেছে ২২৫ রান। ৮৯ রান করেছেন জহিরুল ইসলাম। ৬০ রান এসেছে আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকির ব্যাট থেকে। গাজী ট্যাংকের হয়ে দুটি করে উইকটে নিয়েছেন সাজিদ, আরাফাত সানি এবং নুর হোসেন। এরপর ব্যাট করতে নেমে গাজী ট্যাংক ৩৬.১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে পৌঁছে যায় লক্ষ্যে। উসমান তারিক এবং ইমরুল কায়েস দুজনই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। দলকে জিতিয়ে উসমান ১০৫ এবং ইমরুল ১০৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। আট ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে গাজী ট্যাংক। আর ১০ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে শেখ জামাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শেখ জামাল : ২২৫/১০, ৫০ ওভার (জহুরুল ৮৯, জুনায়েদ ৬০, নাহিদুল ২০; শহীদ ২/৫৩, আরাফাত সানি ২/২৫, নূর হোসেন ২/১১)।
গাজী ট্যাংক : ২২৭/১, ৩৬.১ ওভার (উসমান ১০৫*, ইমরুল ১০৪*;)।
ফল : গাজী ট্যাংক ৯ উইকেট জয়ী। ম্যাচসেরা : ইমরুল কায়েস।
আবাহনী-ভিক্টোরিয়া
সাভারের বিকেএসপিতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৩৪ রান তুলেছিল ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব। রাসেল আল মামুন সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন। সৌম্য সরকার করেন ৬৮। আবাহনীর পক্ষে লুক রাইট ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন। জবাবে ১৪ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আবাহনী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভিক্টোরিয়া : ২৩৪/৮, ৫০ ওভার (রাসেল ৭৬, সৌম্য ৬৮, জোবায়দুর ৩৭, জুবায়ের ২৯; রাইট ৩/৩৩, আল-আমিন ৩/৩৯)।
আবাহনী : ২৩৫/৬, ৪৭.৪ ওভার (রাইট ৬৬, স্মিথ ২৮, মোসাদ্দেক ৩৮, আল-আমিন ২৯*, আলাউদ্দিন বাবু ২৬*; সাকের ২/৩৬)। ফল : আবাহনী ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : লুক রাইট।
কলাবাগান-প্রাইম ব্যাংক
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে দিনের আরেক খেলায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ৩৫৩ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলে প্রাইম ব্যাংক। ওপেনার সৈকত আলী ১১০ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৩ রানে অবসর নেন। তবে এদিন ঝড়ো ব্যাটিং দেখল মাঠের দর্শকরা। এবং সেটা দলের অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলরের ব্যাটে। মাত্র ৪৬ বলে ১৪ চার ও ৩ ছক্কায় ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন এ জিম্বাবুইয়ান। জবাবে ১৮৭ রানে অল আউট হয়ে যায় কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি। শরীফউল্লাহ সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন। ১০ পয়েন্ট হলেও রানরেটে এগিয়ে থাকার কারণে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে প্রাইম ব্যাংক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রাইম ব্যাংক : ৩৫৩/৩, ৫০ ওভার (সৈকত ১০৩ অবসর, রুম্মান ৫৩, রবি বোপারা ৭৯, টেলর ১০০*; আসিফ ১/১৭)।
কলাবাগান : ১৮৭/১০, ৪৪.৪ ওভার (মিজানুর ৪১, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ২৬, আসিফ ২৫, শরীফউল্লাহ ৬০; মাহমুদুল হাসান ৩/৬, তাপস ২/২৪, এনামুল ২/৩৮)।
ফল : প্রাইম ব্যাংক ১৬৬ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা : ব্রেন্ডন টেলর।
Discussion about this post