অনেক নাটকীয়তার ইতি টানলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অনুরোধ করলেও রাখলেন না। টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরেই গেলেন তিনি। হারের টেস্টে তার ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ১৫০। এটিই হয়ে থাকল তার শেষ টেস্ট ইনিংস। রোববার তাকে বিদায়ী গার্ড অব অনারও দিয়েছেন মুমিনুল হকরা।
এরপর থেকেই সতীর্থ ক্রিকেটারদের ভালবাসায় সিক্ত হচ্ছেন রিয়াদ। ম্যাচ সেরার পুরস্কার নেওয়ার পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে জড়িয়ে ধরেন সাকিব। তারপর সবাই এসে অভিনন্দন জানান তাকে। আর সাজঘরে মাহমুদউল্লাহকে আনন্দ তো হয়েছেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও শুভেচ্ছা জানালেন অনেকে। তার দীর্ঘদিনের সতীর্থ তামিম ইকবাল লিখলেন, ‘লাল বলের ক্রিকেটে আপনার সেবার জন্য ধন্যবাদ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাই। আপনার সঙ্গে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দারুণ কিছু সময় কাটানোর অপেক্ষায় আছি।’
মুশফিকুর রহিম, যিনি তার শুধু সতীর্থই নয়, পারিবারিক আত্মীয়ও। ভায়রা ভাই দু’জন। সেই মুশফিক লিখলেন তার ফেসবুকে, ‘আপনার ৫০তম টেস্টে ম্যাচে ম্যান অব দ্য পুরস্কার এবং ম্যাচ উইনিং পারফরম্যান্সের জন্য অভিনন্দন। দারুণ জয় পেয়েছি আমরা।’ দু’জনের একটা ছবিও পোস্ট করেন মুশি।
আরেক সতীর্থ মেহেদী হাসান মিরাজ তার ফেসবুক পেজে এনিয়ে লিখলেন, ‘এক দুর্দান্ত খেলোয়াড় আপনি। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে, আপনি টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ছেন। খেলোয়াড়, ভক্তরা আপনাকে এ ফরম্যাটের ক্রিকেটে মিস করবে। আমি আপনার থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আরও শিখতে মুখিয়ে আছি। আপনি যে নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছেন সেটি উপভোগ করুন।’
জাতীয় দলের তরুণ ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত তার ফেসবুকে লিখলেন, ‘আমি যে কোনও দলে খেলি না কেন তার মতো একজন রত্নকে ড্রেসিংরুমে পেয়েছি। আপনার থেকে অনুপ্রেরণার পাশাপাশি অনেক কিছু শিখেছি আমি। টেস্ট ক্রিকেটে দেশকে যে সেবা দিয়েছেন সেজন্য ধন্যবাদ। সৃষ্টিকর্তা মঙ্গল করুক আপনার।’
কাজী নুরুল হাসান সোহানও এনিয়ে জানালেন প্রতিক্রিয়া। তিনি লিখেছেন, ‘আপনি সব সময় আমার জন্য আদর্শ ও অনুপ্রেরণা হয়ে ছিলেন। আপনার অধীনে আমার ক্যারিয়ার শুরু করেছি। আপনার থেকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্যাপ পেয়েছি। সর্বদা আপনার মনোভাব এবং তাড়না দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। ভালোবাসি, আপনি যেভাবে আমাকে পথ দেখিয়েছেন। আরো অনেক বছর লাল-সবুজের জার্সিতে আপনাকে দেখতে মুখিয়ে আছি।’
মাহমুদউল্লাহ ১৬ মাস পর টেস্টে ফিরে হারারেতে ৮ নম্বরে নেমে এবার খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ১৫০ রানের ইনিংস। এটাই হয়ে গেলো তার শেষ ইনিংস। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট অভিষেক। তারপর ৫০ টেস্টে ৫ সেঞ্চুরি ও ১৬ ফিফটিতে মাহমুদউল্লাহ তুলেছেন ২৯১৪ রান। ৪৩ উইকেট জমা হয়েছে তার সংগ্রহে। টেস্ট থেকে অবসর নিলেও ওয়ানডে আর টি-টুয়েন্টি খেলে যাবেন রিয়াদ!
Discussion about this post