ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
তিনি ক্রীড়া সাংবাদিক। ঢাকার গণমাধ্যমে কাজ করছেন অনেক দিন ধরেই। সংগতভাবেই স্টেডিয়ামের সঙ্গে সম্পর্কটা বেশ নিবিঢ়। খেলা কাভার করতে প্রায়ই ছুটে যেতেন মোস্তাক আহমেদ খান। ম্যাচ কাভার করতেন। কিন্তু মঙ্গলবার নিজে খেলতেই গিয়েছিলেন খেলার মাঠে। মার্সেল বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভালে অংশ নিয়ে ব্যাডম্যান্টিনের ঝড় তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু কে জানতো এখান থেকেই চলে যাবেন চিরতরে?
পল্টনে ব্যাডমিন্টন কোর্টে খেলার মাঝ পথেই বুক চেপে মাটিতে পড়ে যান তিনি। এরপর উঠে বসতে পারেন নি। সতীর্থরা তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক জানান- তিনি চলে গেছেন। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন ক্রীড়া সাংবাদিক মোস্তাক (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি। মোস্তাক আহমেদ কাজ করতেন বিডি স্পোর্টস ডট কমে।
বয়সটাও বেশি হয়নি সদালাপী মোস্তাকের। ৫৫ বছর বয়সী এই সাংবাদিক ছিলেন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস এসোসিয়েশন (বিএসপিএ) এর সদস্য। ক্রীড়া সাংবাদিকদের এ সংগঠনের বার্ষিক ক্রীড়া আসর বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভালে অংশ নিতে মাঠে আসেন মোস্তাক।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ব্যাডমিন্টনের উডেন ফ্লোরে খেলা শুরু করেন। ঘটনার বনর্নায় প্রথম আলোর ক্রীড়া সাংবাদিক বদিউজ্জামান মিলন ফেসবুকে লিখেছেন, ”সবার প্রিয় সদা হাস্যজ্জ্বল মোশতাক ভাইয়ের এমন আকস্মিক মৃত্যু সত্যি বেদনাদায়ক। আজ থেকে শুরু হয়েছে বিএসপিএর স্পোর্টস কার্নিভাল। উনি বরাবরের মতো এবারও অংশ নেন বিভিন্ন খেলায়। সবার সঙ্গে মজা করেন খেলতে এসে। সকালে ব্যাডমিন্টনের ফাইনালে ওঠার পর বুকে ব্যথা করায় ওয়াকওভার দেন। এরপর দ্বৈতে খেলার সময় হঠাৎ মাটিতে পড়ে যান। হয়তো সেখানেই মৃত্যু হয়েছে। এরপর হাসপাতালে যাওয়ার পর ডাক্তাররা মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ছবিটা আমরা তুলেছিলাম ২০১৪ সালে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে। আর কখনো কোনো প্রেস কনফারেন্সে, মাঠে দেখা যাবে না মোশতাক ভাইকে।”
সতীর্থ সাংবাদিকরা তাকে দ্রুত কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু তার আগেই সব শেষ। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন তাকে। মোস্তাক আহমেদ খান ডায়াবেটিস ও নিম্মরক্ত চাপে ভুগছিলেন।
তার মৃত্যুতে ভীর শোক প্রকাশ করছে বিএসপিএ। মার্সেল বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল স্থগিত করেছে তারা।
Discussion about this post