প্রথমবারের মতো মন্ত্রীসভায় ডাক পেয়ে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। বিসিবির সঙ্গে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও এখন তার। সবশেষ এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন জাহিদ আহসান রাসেল।
গত ১০ জানুয়ারি মন্ত্রীসভায় যোগদানের আমন্ত্রণ পাওয়ার পর থেকেই আলোচনায় ছিল- কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিচ্ছেন পাপন। বৃহস্পতিবার গণভবনে ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিসিবির সভাপতি।
এর আগে থেকেই গুঞ্জন বিসিবিতে পাপনের চেয়ারে বসবে কে?
বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হিসেবে চাইছেন অনেকেই। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নতুন মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হওয়ায় এই দাবি আরও জোরালো হয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হিসেবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শপথ নেন পাপন।
শপথের আগে পাপন গণমাধ্যমে বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে এই মন্ত্রী পাওয়া নিয়ে বিসিবি ছাড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের এখানেও আগে অনেকে মন্ত্রী ছিলেন যারা একই সঙ্গে বিসিবির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। বিদেশেও এমন অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে। তবে সেটা কোনো ইস্যু না। আমার অনেক আগে থেকে একটা ইচ্ছে ছিল বিসিবি সভাপতি হিসেবে এবারই আমার শেষ মেয়াদ। এই মেয়াদ শেষ হবে সামনের বছর। আমি চেষ্টা করবো এটা এই বছরই শেষ করা যায় কিনা। আইসিসির আবার কিছু নিয়ম কানুন আছে। আইসিসির বেশকিছু কমিটিতে আমি আছি, চেয়ারম্যান হিসেবেও আছি। ওরা আবার এটা নির্ধারিত মেয়াদের আগে বদল করে না। দেখি কি করা যায়। তবে আবার বলছি, সামনের বছর তো এমনিতেই করতাম, দেখি এই বছরের মধ্যেই শেষ করা যায় কিনা?’
তার মানে সরে দাঁড়াবেন তিনি। তাহলে এই পদে কে আসবেন? মাশরাফির সুযোগ কতোটুকু? গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিসিবির কাউন্সিলর থেকে পরিচালক পদে নির্বাচিত হওয়ার পরই সভাপতি হওয়ার সুযোগ থাকে। মাশরাফি কাউন্সিল কিংবা পরিচালক কিছুই নন।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন সুজন এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে বলেন, ‘বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিকে নির্বাচিত সভাপতি হতে হয়। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ হওয়ায় আইসিসির গাইড অনুযায়ী আমাদের গঠনতন্ত্র তৈরি করা। যেখানে বিসিবির প্রেসিডেন্টকে নির্বাচিত হতে হবে। সেক্ষেত্রে যেই বিসিবি প্রেসিডেন্ট হোক, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রথমে কাউন্সিলর হতে হবে। পরবর্তীতে ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক হতে হবে। পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা তখন বোর্ড সভাপতি নির্বাচন করবেন। যেহেতু আমাদের আগের যে একটা প্রক্রিয়া ছিল যে সরকার থেকে মনোনীত একজন ব্যক্তি ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হবেন সেই বিষয়টা এখন আমাদের গঠনতন্ত্রে নেই। এই বিষয়টা এখন আর প্রযোজ্য নয়। একটা নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বোর্ড সভাপতি হতে পারবে, যদি পজিশনটা খালি হয়।’
সভাপতির পদে আসতে হলে প্রথমে কাউন্সিলর হয়ে বিসিবিতে প্রবেশ করতে হবে মাশরাফিকে। এরপর পরিচালক পদে নির্বাচিত হতে। পরিচালক হওয়ার পরই আসবে বিসিবি সভাপতি হওয়ার সুযোগ। পনের মেয়াদ আছে দেড় বছরের বেশি। তিনি সরে গেলে বর্তমান পরিচালক পদে থাকা কেউ বসবেন সভাপতির পদে।
Discussion about this post