ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
করোনাভাইরাস সংক্রমণ এখনো কমেনি। কবে এই প্রাণঘাতি ভাইরাসের দাপট কমবে বলার সুযোগ নেই। এ কারণেই সীমিত পরিসরে অনেক কিছুই খুলে দিয়েছে সরকার। তবে বন্ধ আছে মাঠের খেলা। কবে বল গড়াবে উত্তর জানা নেই। কিন্তু মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবালদের ফেরাতে প্রস্তুতি শুরু করেছে বিসিবি।
করোনার কারণে খেলা বন্ধ মার্চের মাঝামাঝি থেকেই। সহসা যে ফেরা যাবে তেমন ইঙ্গিতও নেই। তারপরও মুশফিকদের ফেরাতে প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এ কারণেই বিসিবির কোভিড-১৯ গাইডলাইন মেনে প্রস্তুত করা হচ্ছে আটটি স্টেডিয়াম।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে- করোনাভাইরাসের জন্য সৃষ্ট অচলাবস্থা কাটিয়ে মাঠে ক্রিকেট ফেরানোর জন্য কাজ করেছে তারা। তার অংশ হিসেবে তৈরি রাখা হচ্ছে দেশের আটটি মূল আন্তর্জাতিক ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ভেন্যু।
এই আটটি মাঠ হলো-রাজধানীর মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, নারায়ণগঞ্জের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, সিলেটের সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম ও রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান।
যেখানে কাজ শুরু করে দিয়েছে বিসিবি। বোর্ড কর্তারা জানালেন-প্রতিটি ভেন্যুতে একশজনের বেশি গ্রাউন্ডসম্যান ও কর্মী পিচ, আউটফিল্ড ও ফ্যাসিলিটিজ রক্ষণাবেক্ষণে ব্যস্ত আছেন। মাঠ ক্রিকেটের উপযোগী রাখতেও চলছে কার্যক্রম। বিদ্যুৎ ও পানি উপকেন্দ্রের কর্মীরাও আছেন ব্যস্ত।
তবে করোনার কারণে সতর্ক থাকতে হচ্ছে তাদের। বিসিবির গাইডলাইন অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা ভেন্যুগুলো অনুসরণ করছে। স্যানিটাইজেশন প্রটোকল মেনে চলার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে যথেষ্ট পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানালেন, ‘মাঠের ক্রিকেট চালুর প্রক্রিয়া শুরু হওয়া উচিত অনুশীলন দিয়ে। এ কারণেই মাঠ ও অনুশীলন ফ্যাসিলিটিজ প্রস্তুত ও সচল রাখতে হবে আমাদের।’
Discussion about this post