চাকুরির নাম- ক্রিকেট কোচিং! ভ্র কুঁচকে যেতে পারে অনেকেরই। কিন্তু একটু খোঁজখবর নিন ক্রিকেটের অলিগলিতে। ঘুরে আসুন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড কিংবা শ্রীলঙ্কায়। চোখ কপালে উঠে যেতে পারে ক্লাব ক্রিকেটেই কোচদের অর্থ আর চাহিদা দেখে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো অনেক ওপরে। হালের বাবা-মায়েরা এখন আর ছেলেকে ক্রিকেটার হতে বাধা দেন না। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলোয়াড়দের দিয়েছে অঢেল অর্থ ও খ্যাতি। কাজেই তাদের নেপথ্যে থাকা ক্রিকেট কোচরা আর পিছিয়ে থাকবেন কেন? অনেকের ক্ষেত্রে থাকছে না কোনো সীমা-পরিসীমা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ও ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে (আইসিএল) তো টাকা রীতিমতো উড়ছে। খেলোয়াড় এবং কোচরা তা ধরতে পারলেই কেল্লা ফতে। কাজেই খেলোয়াড়দের পাশাপাশি ক্রিকেট কোচদেরও এখন পোয়াবারো। কারণ কোচ ছাড়া এখন আর দল কল্পনাই করা যায় না।
তরুণ ক্রিকেটার মাত্রই রয়েছে উচ্চাকাক্সক্ষা। কিন্তু একজন উদীয়মান ক্রিকেটারের অভিজ্ঞতা একটু কমই থাকে। তার প্রয়োজন হয় নিজেকে ঝালিয়ে বা ঘষামাজা করে নেওয়া। তরুণ ক্রিকেটারদের গড়ার কাজটিই করে দেন ক্রিকেট কোচরা। ক্রিকেট কোচিং তো এক শিল্পে পরিণত হয়ে গেছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে ক্রীড়া বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার। এক্ষেত্রে ক্রিকেট কোচরা চান ক্রিকেটারদের শ্রদ্ধা ও আনুগত্য।
ক্রিকেট কোচ ক্রিকেটারদের দিচ্ছেন ক্রিকেট কোচিং টিপস। তবে সেটি শুধু খেলাতেই আটকে থাকছে না। মানে কোচ শুধু ক্রিকেটের টেকনিক্যাল দিক নিয়েই কাজ করেন না, মানসিক দিকগুলোর ব্যাপারেও যতœ নেন। ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ারে প্রতিশ্র“তি, শৃঙ্খলা, দৃঢ়তা ও আÍবিশ্বাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারগুলোও ঠিক করতে ভূমিকা পালন করেন কোচরা। ক্রিকেট কোচের কাজ তার ছাত্রদের মনে ওই বিষয়গুলো গেঁথে দেওয়া।
পাশের দেশ ভারতে ক্রিকেট কোচের চাকরির অনেক সুযোগ রয়েছে। শীর্ষ পর্যায় থেকে স্কুল, কলেজ, রাজ্যের ক্লাবগুলোতে রয়েছে কোচের প্রচুর চাহিদা। যে কেউ ক্রিকেট কোচিং একাডেমি খুলে তরুণ-অনভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের দিতে পারেন প্রশিক্ষণ। একজন ক্রিকেট কোচ তার ছাত্রদের দেন প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা। বিভিন্ন কোচ বিভিন্নভাবে তাদের ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণ দেন। তবে সবার চূড়ান্ত লক্ষ্যটা কিন্তু একই। তা আর কিছুই নয়-তাদের ক্রিকেটারদের সাফল্যের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে দেওয়া।
Discussion about this post