ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
অবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট অঙ্গনে স্বস্তির খবর-দুই পক্ষ এক হয়েছে। ধর্মঘট শেষে মাঠে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাকিব আল হাসানরা। শুক্রবার ভারত সফরের ক্যাম্পে যোগ দেবেন ক্রিকেটাররা। এরপর শনিবার শুরু হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগ। বুধবার রাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও ধর্মঘটের ডাক দেয়া ক্রিকেটাররা আলোচনায় বসেন। তারপরই ক্রিকেটাররা ঘোষণা দেয় মাঠে ফেরার। বিসিবি ৯টি দাবি মেনে নিয়েছে।
যদিও দেশের শীর্ষ ক্রিকেটাররা শুরুতে ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেন। পরে আরও দুটি দফা যোগ হয়েছে। এ অবস্থায় বিসিবির পরিচালকরা জানিয়েছেন ৯টি মেনে নিয়েছেন। বাকিগুলোও আলোচনা করে তারা সমাধান করবেন। এমন আশ্বাসে মাঠে ফিরছেন সাকিবরা।
তবে শোনা যাচ্ছে-বোর্ডের সঙ্গে সংকট সমাধানের সভাতেও শুরুতে ক্রিকেটারদের বেশ এক হাত নিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। এরপর স্বাভাবিক আলোচনা করেছেন তিনি। ক্রিকেটারদের প্রতি বোর্ডের দৃষ্টিভঙ্গি বদল তাই আদৌ কতটা হবে-সেই প্রশ্ন উঠেছে গণমাধ্যমে।
আগেও বিসিবি ক্রিকেটারদের অনেক দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু পরে সে সবের কিছুই বাস্তবায়ন করেনি। তাই এবারও থেকে যাচ্ছে শঙ্কা। ক্রিকেটাররা এবার ধর্মঘটের ডাক দেন মূলত ঘরোয়া লিগের পারিশ্রমিক বাড়ানোর জন্য। বিসিবি প্রধানও তাদের আশ্বাস দিয়েছেন পারিশ্রমিক বাড়ানোর। কিন্তু তিনি বলেননি কতটা বাড়বে তাদের পারিশ্রমিক? এই প্রশ্নের উত্তরও মেলেনি।
বিসিবির সঙ্গে আলোচনার পর সাকিব যখন সংবাদ সম্মেলনে আসেন, তখন তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল
জাতীয় লিগে ১ লাখ টাকা ম্যাচ ফি বোর্ড দেবে কিনা। কিন্তু টাইগার ও টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক দিতে পারেনি সঠিক উত্তর। সাকিব বলেন, ‘আমাদের প্রধান দাবি ছিল- বেতন বাড়ানো। তবে সেটি বাস্তবায়ন হবে বলে মনে হয় না। কারণ সেই ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি, যা হয়েছে সব জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্য।’
আরেক প্রথম শ্রেণির আরেক ক্রিকেটার জানান, ‘কী দাবি মানল আর কি মানল না- কিছুই বুঝলাম না। বেশিরভাগ আলোচনাই হয়েছে জাতীয় দলকেন্দ্রিক। আমাদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। কী হবে এখন কে জানে? মনে হচ্ছে, বেতন তো বাড়বেই না, হয়তো আমাদের অনেকেরই ক্যারিয়ার ধ্বংস হবে!’
ধর্মঘটে যুক্ত থাকা এক ক্রিকেটার এটিকে ভয় নয়, চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিতে বলেছেন সতীর্থদের। তার কথা, ‘পারফরম্যান্স খারাপ করলে বাদ পাড়াটা নতুন কিছু নয়। হ্যাঁ, এখন হয়তো এ বিষয়ে বোর্ড আরও কঠোর হবে। এটাতে ভয় না পেয়ে বরং চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। আমি ভালো খেললে আমাকে কেউ কিছু বলতে পারবে না, সবাইকে এটাই ভাবা উচিত।’
ক্রিকেটারদের অন্য বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে। তারপরও যদি ভুল হয়, বিসিবি যেন সেই ভুলের সুযোগে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত চাপিয়ে না দিতে পারে। এজন্যই সাকিবরা ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবে নতুন নেতৃত্ব চান। যাতে যেকোনো খেলোয়াড়ের সমস্যা-সংকট, বিপদ-আপদে বড় ঢাল হয়ে দাড়াতে পারে সংস্থাটি।
আলোচিত ধর্মঘট শেষ হলেও ক্রিকেটারদের দাবি কতটা পূরণ হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে এখনই মুখে হাসি ফুটছে না ক্রিকেটারদের। কারণ আশ্বাস মিলেছে, বাস্তবায়ন তো এখনো হয়নি!
Discussion about this post