ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব ঠেকাতে পুরো দেশে চলছে লকডাউন, এতে খেটে খাওয়া মানুষের উপার্জনে পড়েছে ভাটা। নিম্নবিত্ত মানুষের অর্থনৈতিক দৈন্যতার সময় পাশে দাঁড়িয়েছে সাকিব আল হাসান ও তার ফাউন্ডেশন। করোনা মোকাবেলায় ‘সাকিব ফাউন্ডেশন’- এর উদ্যো্গ, পরিকল্পনা জানাতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে আসেন সাকিব। যেখানে খেলোয়াড়দের ক্রিকেটীয় জিনিপত্র নিলামে তোলে প্রাপ্ত অর্থ করোনা মোকাবেলায় নিয়োজিত কজে ব্যয় করার প্রস্তাব রাখেন এ অলরাউন্ডার।
সাকিবের ফাউন্ডেশনের আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইটটির যাত্রাও শুরু হয় শুক্রবার। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সহজেই ফাউন্ডেশনে অনুদান দিতে পারবেন যে কেউই। ওয়েবসাইট যাত্রার দিনে লম্বা সময়ের লাইভ সেশনে সাকিব কথা বলেন নানা বিষয়ে, দিয়েছেন ভক্তদের প্রশ্নের উত্তর, আলোচনা করেছেন করোনা রোগীর চিকিৎসা করা চিকিৎসকদের সাথেও।
এক ভক্তের প্রশ্নের জবাবে সাকিব আল হাসান বলেন তার প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশন থেকে ভবিষ্যতে তৈরি হবে স্কুল, কলেজ, হাসপাতালও। নিজে ক্রিকেটার বলে একটা ক্রিকেট একাডেমি করার পুরোনো ইচ্ছের কথাও জানালেন নতুন করে,‘ইন শা আল্লাহ এমন কিছু করতে (সামাজ সেবামূলক কার্যক্রম) পারলে এর থেকে ভালো কিছু আর হতে পারেনা। হাসপাতাল, স্কুল কিংবা কলেজ এই ধরণের জিনিসগুলো যদি করা যায়, আমি ক্রিকেটের মানুষ আমার যদি একটা একাডেমি হয় এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এর থেকে ভালো আর কিছু হতে পারে না।’
করোনা সংক্রমণ প্রতিহতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সাকিব জানান অন্যান্য দেশের ক্রিকেটারদের মত নিলামে উঠানো হতে পারে তাদের জার্সি, ব্যাটও। যার অর্থ ব্যবহার হবে অসহায় মানুষ ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত সরঞ্জামের পেছনে, ‘যে যার অবস্থান থেকে এই সময়টায় যেভাবে সম্ভব অবদান রাখা উচিৎ বলে মনে করি। আর আমি একটা জিনিস চিন্তা করছিলাম জানিনা শেয়ার করা ঠিক হবে কিনা। আমি দেখেছি যে অনেক দেশের ক্রিকেটাররাই তাদের টি-শার্ট বা অন্যান্য সরঞ্জাম নিলামে দিচ্ছে।’
‘আমি জানিনা এরকম কিছুও করতে পারি কিনা আমরা। সেটা আমাদের যেকোন প্লেয়ারের হতে পারে, অটোগ্রাফ, ব্যাট হতে পারে। এগুলো আমরা করতে পারি। আর এসবের নিলাম করতে পারি ফেসবুকের মাধ্যমে। সে অর্থটাও আমরা সুবিধা বঞ্চিত মানুষ কিংবা চিকিৎসকদের পিপিই ও অন্যান্য ভাবে আরও যেসব জায়গায় দেওয়া যায় দিব।’
Discussion about this post