মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের টেস্ট থেকে বিদায় নিয়ে জমাট এক নাটকই হয়ে গেল। হারারে টেস্টের তৃতয়ি দিনই গুঞ্জন ভাসছিল বাতাসে। তখনই নিজের ইচ্ছের কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়ে ছিলেন তিনি। কথা বলেছিলেন, বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে। যেখান থেকে অবসরের ব্যাপারে সম্মতি পান নি। তারপরও নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন। শেষ দিনে রোববার হারারেতে থাকে গার্ড অব অনারও দিলেন সতীর্থরা।
দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো সতীর্থদের করতালিতে মাঠে ঢুকলেন মাহমুদউল্লাহ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টের শেষ দিন মানে রোববারই এই তারকা ক্রিকেটারের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ দিন! ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ায় সময় টিভি ধারাভাষ্যকাররাও নিশ্চিত করেন- টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিচ্ছেন রিয়াদ। ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার এখন শুধুই টি-টুয়েন্টি আর ওয়ানডেতে খেলবেন।
এই ম্যাচ দিয়েই ১৬ মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ। ফিরেই মেলে ধরেন নিজেকে। ১৫০ রানের এক ইনিংসে বুঝিয়ে দেন ফুরিয়ে যান নি তিনি। ৮ নম্বরে নেমে শতকের পর অনেকেই বলছিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের পুনর্জন্ম হলো তার। কিন্তু তিনি সেভাবে চিন্তা করেন নি। ৫০তম টেস্টেই থামলেন রিয়াদ।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সফরে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাজে শটে বিদায় নিতেই সাদা পোশাকের ক্রিকেটে বাদ দেওয়া হয় তাকে। তার আগের ৮ ইনিংসে কোন ফিফটি ছিল না তার। এরপর বিসিবির লাল বলের কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও জায়গা হয়নি রিয়াদকে।
অথচ ফিরে ৮ নম্বরে নেমে এবার খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ১৫০ রানের ইনিংস। এটাই হয়ে গেলো তার শেষ ইনিংস। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট অভিষেক। তারপর ৫০ টেস্টে ৫ সেঞ্চুরি ও ১৬ ফিফটিতে মাহমুদউল্লাহ তুলেছেন ২৯১৪ রান। নিয়েছেন ৪৩ উইকেট।
Discussion about this post