আবুধাবিতে জয়ের মঞ্চ তৈরিই ছিল। বৃহস্পতিবার টেস্টের পঞ্চম দিন সকালেই জয়ের উৎসবে মেতে উঠল পাকিস্তান। সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তারা জিতল ২৪৮ রানের বিশাল ব্যবধানে। এই জয় দিয়ে ইমরান খান ও জাভেদ মিয়াঁদাদকে পেছনে ফেললেন মিসবাহ উল হক। তিনিই এখন পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়ক। ৩২টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে জয় ১৫টিতে। হার ৯ ম্যাচ। ৮টি ম্যাচ ড্র। ইমরান ও মিয়াঁদাদ অধিনায়ক হিসেবে জিতেছিলেন ১৪টি টেস্ট।
শেষ দিনে জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ছিল মাত্র দুই উইকেট। আর নিউজিল্যান্ডকে জিততে চাই আরো ৩০৬ রান
অবশ্য বুধবার চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেট হারিয়ে কিউইরা তুলেছিল ১৭৪ রান।
অলৌকিক কিছু হয়তো বাঁচাতে পারতো পাকিস্তানকে। কিন্তু সেটা হল না। ২৩১ রানে অলআউট সফরকারীরা।
এই জয় দিয়ে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০’তে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। সিরিজের পরের টেস্ট ১৭ নভেম্বর, দুবাইয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান: ১ম ইনিংসে ৫৬৬/৩ ডিক্লে. ও ২য় ইনিংসে ১৭৫/২ ডিক্লে. (হাফিজ ১০১*, আজহার ২৩, ইউনুস ২৮, সরফরাজ ১৩*; সোধি ২/৬৬)।
নিউজিল্যান্ড: ১ম ইনিংসে ২৬২/১০ ও ২য় ইনিংসে ২৩১/১০ (ম্যাককালাম ৩৯ সোধি ৬৩; বাবর ২/৪৮, রাহাত ২/৪৮, ইয়াসির ৩/৭৪, ইমরান ২/৩৭)।
ফল: পাকিস্তান ২৪৮ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: রাহাত আলী
#############
আবুধাবিতে জয়ের মঞ্চ তৈরি পাকিস্তানের
আবুধাবি টেস্টে জয়ের মঞ্চ তৈরি করে নিয়েছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ড্রাইভিং সিটে তারা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এখন পাকিস্তান ৩১৯ রানে এগিয়ে। এর আগে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে ২৬২ রানে অলআউট করে তারা। পাকিস্তান পেসার রাহাত আলি ৪ উইকেট নেন মাত্র ২২ রানে। বাঁহাতি স্পিনার জুলফিকার বাবর ৭৯ রানে তিনি নিলেন ৩ উইকেট।
যদিও এরপর নিজেরাই ব্যাট করতে নামে। দিনশেষে তারা বিনা উইকেটে তুলেছে ১৫ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ৫৬৬/৩ ডি. ও ২য় ইনিংস : ১৫/০ (হাফিজ ৫ ব্যাটিং, আজহার ৯ ব্যাটিং)।
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস : ২৬২/১০ (ল্যাথাম ১০৩, ম্যাককালাম ১৮, অ্যান্ডারসন ৪৮, ওয়াটলিং ৪২, সোধি ২৫; রাহাত ৪/২২, বাবর ৩/৭৯)।
###########################
ফের ইউনুস-মিসবাহ’র ব্যাটে সেঞ্চুরি
আবুধাবি টেস্টের দ্বিতীয় দিনটাও পাকিস্তানের। টেস্টের প্রথম দিন সেঞ্চুরি করেছিলেন আহমেদ শেহজাদ। সোমবার শতরান করলেন ইউনুস খান এবং অধিনায়ক মিসবাহ। তাতেই ৩ উইকেটে ৫৬৬ রানের পাহাড় ১ম ইনিংস ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। দিন শেষে নিউজিল্যান্ড করেছে বিনা উইকেটে ১৫ রান। অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ৯ এবং টম লাথাম ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
দুভার্গ্য আজহার আলির। ৮৭ রানে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। বাকি তিনজন অবশ্য পিকনিক করেছেন কিউই বোলিংয়ের বিপক্ষে। অন্যদিকে ডাবল সেঞ্চুরির পথে ছিলেন আহমেদ শেহজাদ। কিন্তু ১৭৬ রানে ‘হিট উইকেট’ হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।। তার আগে অবশ্য আজহারের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১৬৯ রানের জুটি গড়েন।
অন্যদিকে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন ইউনুস খান। গত তিন টেস্টের পাঁচ ইনিংসে চার সেঞ্চুরি করলেন তিনি। এবারো পেলেন তিন অঙ্কের দেখা। ইউনুস ১০০* ও মিসবাহ ১০২* রান করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ৫৬৬/৩ ডি. (হাফিজ ৯৬, শেহজাদ ১৭৮, আজহার ৮৭, ইউনুস ১০০*, মিসবাহ ১০২*; অ্যান্ডারসন ২/৬৮, সোধি ১/১৬২)। নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস : ১৫/০।
########################################
শেহজাদ-হাফিজের রেকর্ড জুটি
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যেখানে শেষ করেছিল সেখান থেকেই যেন শুরু পাকিস্তানের। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গেও অপ্রতিরোধ্য তারা। এইতো রোববার আবুধাবি টেস্টের প্রথম দিনটা নিজেদের করে নিল পাকিস্তান।
সেঞ্চুরি তুলে নিলেন আহমেদ শেহজাদ। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়ে গড়েলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটির সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
টেস্টের প্রথম দিন রোববার ১ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রান তুলেছে পাকিস্তান। দিন শেষে শেহজাদ উইকেটে আছেন ১২৬ রান নিয়ে। সঙ্গে আজহার আলির রান ৪৬। হাফিজ করেন ৯৬।
এর আগে সকালে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেয় স্বাগতিক পাকিস্তান।
দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ ও শেহজাদ প্রথম উইকেট জুটিতে ১৭৮ রান করেন। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রানের উদ্বোধনী জুটি ছিল ১৭২। রমিজ রাজা ও শোয়েব মোহাম্মদ জুটি গড়েছিলেন, ১৯৯০ সালে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ১৬৯/১ (হাফিজ ৯৬, শেহজাদ ১২৬*, আজহার ৪৬*; অ্যান্ডারসন ১/৩১)।
Discussion about this post