ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
মাত্র ১২ রানে সাজঘরে ফিরেছিলেন সেদিন! কিন্তু কে জানতো ঠিক ১২ বছর পর এসে এই ক্রিকেটারটিই হয়ে উঠবেন কিংবদন্তি?
বিরাট কোহলি। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলার যে বল বয়টি আজ বিশ্বসেরাদের অন্যতম। ২০০৮ সালের ১৮ আগষ্ট, ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। আজকের দিনেই বুঝে পেয়েছিলেন ভারতীর নীল জার্সি। ওয়ানডে দিয়ে শুরু। এরপর টেস্ট ও টি-টুয়েন্টিতেও শক্ত একটা জায়গা করে নিয়েছেন কোহলি।
২০০৮ সালের মার্চে ভারতকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্বে দিয়েছেন তিনি। তখনই তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। সেই বছরের আগষ্টে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক। শুরুটা অবশ্য মন মতো ছিল না। ডাম্বুলায় অভিষেকে উইকেটে ছিলেন মাত্র ৩৩ মিনিট! ২২ বলে ১২ রান তুলে নুয়ান কুলাসেকারার বলে আউট। ম্যাচটাতেও হার মানে তার দল।
এরপর সেঞ্চুরির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৪ ম্যাচ। প্রতিপক্ষ সেই শ্রীলঙ্কা! ২০০৯ সালে ইডেন গার্ডেন্সে ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন। তারপর থেকে শুধুই এগিয়ে চলার গল্প।
ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে ৯ হাজার, ১০ হাজার ও ১১ হাজার রানের রেকর্ড গড়েন কোহলি। আর ৯ হাজার ছুঁতে দুইশর কম ইনিংস (১৯৪) লেগেছে ভারত অধিনায়কের। টপকে যান এবি ডি ভিলিয়ার্সের রেকর্ড (২০৫)। ১০ হাজার ছুঁয়েছেন কোহলি ২০৫ ইনিংসে। ২৫৯ ইনিংসে এই মাইলফলক ছুঁয়ে রেকর্ড গড়েন শচিন টেন্ডুলকার। ১১ হাজার স্পর্শ করতে কোহলির লেগেছে ২২২ ইনিংস। শচীনের ২৭৬ ইনিংস।
অধিনায়ক কোহলিও বেশ সফল। ২০১৪-১৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝপথে মহেন্দ্র সিং ধোনি টেস্ট থেকে বিদায় নিলে অধিনায়কত্ব হন কোহলি। এরপর ধোনিকেই ছাড়িয়ে এখন ভারতের সফলতম টেস্ট অধিনায়ক। কোহলির নেতৃত্বে ৫৫ টেস্টের ৩৩টিতে জয় পেয়েছে ভারত। ধোনির নেতৃত্বে ৬০ টেস্টে জয় ২৭টি। দেশের বাইরেও সাফল্যে সেরা কোহলি। তার নেতৃত্বে বিদেশে ১৩ টেস্টে জয় তুলে নিয়েছে ভারত। সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে ভারতের বাইরে ১১ টেস্টে জয় পেয়েছিল দল।
কোহলির ওয়ানডেতে ৪৩ সেঞ্চুরি আর টেস্টে ২৭টি! ৮৬টি টেস্টে করেছেন ৭,২৪০ রান! ২৪৮টি ওয়ানডে খেলে ১১,৮৬৭ রান। ৮২ টি-টুয়েন্টিতে ২,৭৯৪!
বয়স ৩১। সন্দেহ নেই আরও অনেক দূর যাবেন তিনি। যে ক্রিকেটারটি এতো পরিশ্রমী আর প্রতিভাবান একইসঙ্গে শৃংখল তাকে মাঠে কে আটকায়?
Discussion about this post