ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। এখনো গোটা বিশ্ব ডিয়েগো ম্যারাডোনার চলে যাওয়ার শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি। সপ্তাহ দুয়েক আগে চলে গেছেন ফুটবলের ইশ্বর খ্যাত এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জয়ী কিংবদন্তির মৃত্যুর রেশ মিলিয়ে না যেতেই আরেক দুঃসংবাদ!
দুই মাস ধরে অসুস্থ থাকার পর চলে গেলেন ইতালিয়ান লিজেন্ড পাওলো রসি। ৬৪তম জন্মদিনের পালন করার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর দু’মাস যেতেই ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক মারা গেলেন।
১০ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার তার স্ত্রী ফেদেরিকো কাপ্পেলেত্তি একটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে মৃত্যুর ঘোষণা দেন, ‘তোমার মতো আর কেউ হবে না, তুমি অনন্য, বিশেষ কিছু। তোমার পরে আর কিছুই নেই।’
কিংবদন্তি ফুটবলার রসি। যে বিশ্বকাপে যাদু দেখিয়েছেন সেখানে খেলারই কথা ছিল না তার। বাজির কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে ১৯৮০ সালে নিষিদ্ধ হন তিন বছরের জন্য। এরপর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে সফল।
৩৮ বছর আগে স্পেন বিশ্বকাপে ম্যাজিক্যাল ফুটবল উপহার দিয়ে ইতালিকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেন। টুর্নামেন্টে ছয় গোল করে গোল্ডেন বল ও গোল্ডেন বুট জেতেন রসি। একই বছরে ফুটবলের সবচেয়ে সম্মানজনক স্বীকৃতি ব্যালন ডি’অরও জিতে নেন তিনি।
১৯৭৮ বিশ্বকাপেও রসি করেন ৩ গোল। যেখানে ইতালি হয় চতুর্থ। বিশ্বকাপে তার ৯ গোল এখন অব্দি ইতালির হয়ে যৌথভাবে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড।
রসি ইতালি জাতীয় দলের জার্সিতে তিনি শেষ ম্যাচ খেলেন ১৯৮৬ সালে। ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারের পুরোটাই কাটান ইতালিতে। বিশ্বকাপ জয়ের পাশাপাশি জুভেন্টাসের হয়ে দুটি সিরি এ, একটি করে ইউরোপিয়ান কাপ, কোপা ইতালিয়া ও উয়েফা সুপার কাপ জিতেছেন রসি। সর্বকালের সেরা ফরোয়ার্ডদের একজন রসি।
১৯৭৭ থেকে ১৯৮৬ সাল অব্দি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতালির হয়ে ৪৮ ম্যাচ খেলে ২০ গোল করেন রসি। ৩৩৮ ক্লাব ম্যাচে ১৩৪ গোল এই কিংবদন্তির!
Attachments area
Discussion about this post