কক্সবাজারের নির্মাণাধীন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী বছরের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন হবে কি না সেটা জানা যাবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। আইসিসির পর্যবেক্ষক দল মাঠ পরিদর্শন শেষে যদি সন্তুষ্ট হয় তবেই সেখানে মেয়েদের বিশ্ব টি-টুয়েন্টির আসর বসবে। তাই সেপ্টেম্বরের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
তবে কক্সবাজারের এ ক্রিকেট স্টেডিয়াম যে স্থায়ী কোনো স্টেডিয়ামের কাঠামো পাচ্ছে না-তা জানতে আগামীকালের অপেক্ষায় থাকতে হবে না। কক্সবাজারের গলফ কোর্সের এ ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি হচ্ছে পুরোপুরি অস্থায়ী। কারণ এ জায়গায় বাংলাদেশ পর্যটন মন্ত্রণালয় পাঁচতারকা হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনা ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করে ফেলেছে!
গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার এক বৈঠকে এ তথ্য মিলল।
কক্সবাজারের এ স্টেডিয়ামকে ঘিরে বিসিবি যে স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণের স্বপ্ন দেখছিল সেটা এখন ভেঙে খান খান। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এ স্টেডিয়ামের আশপাশের আরও কিছু জমি নিয়ে বিসিবি একটি পূর্ণাঙ্গ স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনা করছিল। এ বিষয়ে বিসিবি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও নির্দেশ পেয়েছিল।
কিন্তু এখন পর্যটন মন্ত্রণালয় বলছে ভিন্ন কথা। কাল বিসিবির সঙ্গে বৈঠক শেষে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটকমন্ত্রী ফারুক খান জানান-‘শৈবালের জায়গাটি (গলফ কোর্স) পিপিপির তত্ত্বাবধায়নে একটি আন্তর্জাতিক মানের পাঁচতারকা হোটেল নির্মাণের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমরা এ প্রকল্পের কাজ শুরুর অপেক্ষায় আছি। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য এখানে তেমন বড় কোনো অবকাঠামো নির্মাণ হবে না। অস্থায়ী মাঠ তৈরি হবে। এমনকি ড্রেসিংরুমগুলোও অস্থায়ী কাঠামো দিয়ে তৈরি করা হবে। স্থায়ী স্টেডিয়ামের জন্য কক্সবাজারের অন্য কোনো সুন্দর জায়গা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আলোচনায় বসতে পারেন।’
বৈঠক শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন মানলেন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তাদের কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তবে আজকের বৈঠকের পর সেই দূরত্বগুলো দূর হয়ে গেল। আসলে শৈবালের গলফ কোর্সের জায়গার মালিকানা পর্যটন মন্ত্রণালয়ের। নাজমুল জানান-‘যথাযথ সময়ে কক্সবাজারের স্টেডিয়ামের কাজ যাতে শেষ করা যায় সে ব্যাপারে আমরা সবাই একমত হয়েছি। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যেই স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ আমরা শেষ করতে চাই। আইসিসির শর্তপূরণ যাতে আমরা করতে পারি সেই লক্ষ্যে খুব দ্রুত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। স্টেডিয়ামকে খেলার উপযোগী করতে খুব বেশি বড় কোনো কাজের প্রয়োজন নেই। বাউন্ডারি দেয়াল তৈরি করতে হবে। প্রি-ফ্রেবিকেটেড ড্রেসিংরুম নির্মাণ করছি আমরা। এ অস্থায়ী ড্রেসিংরুম প্রয়োজন হলে পরে আমরা অন্য কোথাও ব্যবহার করতে পারব। ন্যূনতম অর্থ ব্যয়ে আমরা এ স্টেডিয়ামকে ব্যবহার উপযোগী করার ব্যবস্থা করছি।’
কক্সবাজারের ক্রিকেট স্টেডিয়াম শুধু টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্যই বানানো হচ্ছে। বিশ্বকাপ শেষেই এ মাঠে পাঁচতারকা হোটেলের জন্য গর্ত খোঁড়া হবে।
Discussion about this post