দুঃস্বপ্নের টেস্ট সিরিজ শেষ। কিন্তু বিশ্রামের সুযোগ নেই। সামনে এবার ওয়ানডে মিশন। দলের প্রাণ ভ্রোমরা মাশরাফী বিন মতুর্জা এরইমধ্যে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। তারপরই পাল্টে যেতে শুরু করেছে ক্রিকেটারদের মেজাজ। সবচেয়ে বড় কথা এবার যে প্রিয় ফরম্যানট ওয়ানডের লড়াই। গত কয়েক বছর ধরেই ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দুর্দান্ত খেলছে বাংলাদেশ। সাফল্যটাও এখানে আকাশ ছোঁয়া! এখানে সেরা দলগুলোর চোখে চোখ রেখেই কথা বলে টাইগাররা।
১২ অক্টোবর প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে শুরু লড়াই। তারপর ১৫ অক্টোবর প্রথম ওয়ানডে। সেখানেই ঘুরে দাঁড়াতে চায় দল। কারণ টেস্টে যারপরনাই ব্যর্থতা সঙ্গী হয়েছে। দুই টেস্টেই লড়াই করা হয়নি। দল পেয়েছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। ঠিক এ অবস্থায় মাঠৈ নামাটা অবশ্য সহজ নয়। কিন্তু মাশরাফি যোগ দিতেই সবাই চনমনে হয়ে উঠেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ মাঠে নেমেছিল ২০১৫ সালে। ঢাকার মাঠে সেবার ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধরা। এবার সেই ধারাবাহিকতটাই ধরে রাখতে চায় দল।
দলের অন্যতম ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস মঙ্গলবার এনিয়ে বলছিলেন, ‘মাশরাফি ভাই আর সাকিবের আসা, তামিমও খেলবে এবার। এমন তিন জন খেলোয়াড় না খেললে কতটা ঘাটতি থাকে সেটা তো আমরা এখানে শেষ টেস্টটা খেলে বুঝেছি। তাদের ছাড়া কতটা সংগ্রাম করতে হয়, আমরা বুঝেছি। অবশ্যই ওরা আসাতে দলের ভারসাম্য অনেক ভালো হয়েছে। আশা করি, ওয়ানডে সিরিজে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আমাদের দলেও ভালো ভারসাম্য আছে এখন। ভালো খেলা হবে আশা করছি।’
অনুশীলন পর্বে মাশরাফিকে পেয়ে বেশ উজ্জীবিত বাংলাদেশ দল। ইমরুল বলেন, ‘মাশরাফি ভাই থাকলে আমরা সবাই একসঙ্গে উপভোগ করি। তিনি অনেক মজা করেন। যার জন্য হয়তো বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপটা অনেক সময়ে আমরা বুঝতে পারি না। এটা অবশ্যই একটা ইতিবাচক জিনিস। উনি এসে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে যে মোটিভেট করেন এটা অবশ্যই অনেক বড় ব্যাপার।’
ওয়ানডে সিরিজ-
প্রস্তুতি ম্যাচঃ ১২ অক্টোবর, বাংলাদেশ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ।
প্রথম ওয়ানডেঃ ১৫ অক্টোবর।
দ্বিতীয় ওয়ানডেঃ ১৮ অক্টোবর।
তৃতীয় ওয়ানডেঃ ২২ অক্টোবর।
Discussion about this post