ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
মানব সেবায় কাজ করতে অনেক আগেই মাশরাফি বিন মর্তুজা দাতব্য সংস্থা গড়েছেন। এরইমধ্যে তার নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের অনেক সুনাম অর্জনও করেছে। করোনা সঙ্কটের মাঝেও মাশরাফি সরব তার মানবিক সহায়তা নিয়ে। কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাকিব আল হাসানও নিজের নামে ফাউন্ডেশন গড়েছেন। তাদের দেখাদেখি এবার নিজের নামে ফাউন্ডেশন গড়তে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। মূলত করোনা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় এ ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্যে হবে।
করোনা যুদ্ধে এরইমধ্যে লড়াই শুরু করেছেন মুশফিকুর রহিমও। নিলামে নিজের ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাট ১৭ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন করোনা তহবিল গড়তে। তবে সেই যুদ্ধের একটি সাংগঠনিক রূপ দিতে যাচ্ছেন দেশের সফলতম এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তাই গড়তে যাচ্ছেন নিজের নামে এমআর ১৫ (মুশফিকুর রহিম ১৫) ফাউন্ডেশন।
বাংলাদেশের হয়ে ১৫ বছর ধরে খেলে যাচ্ছেন মুশফিক। মঙ্গলবার (২৬ মে) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার ১৫ বছর পূর্তি হয়েছে। ২০০৫ সালের ২৬ মে ইংল্যান্ডের লর্ডসে টেস্ট ম্যাচে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথা চলা শুরু হয় তখনকার ১৭ বছরের মুশফিকের। ক্যারিয়ারের সেই বিশেষ দিনে দিলেন খুশির খবরটা। তার জার্সি নম্বরও ১৫। সেজন্য ফাউন্ডেশনের নামের মাঝে ১৫’ সংখ্যা জায়গ করে নিয়েছে।
খুব শিগগিরই পর্দা উঠতে যাচ্ছে এমআর ১৫ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের। তার আগে মুশফিক শুরু করেছেন ফাউন্ডেশনের লোগো তৈরির কাজ। এনিয়ে অনলাইনে একটি প্রতিযোগিতারই আয়োজন করে ফেলেছেন তিনি। যেটা চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। যে কেউ মুশফিককের ছবি, কোনো শটের ছবি, জার্সি, ব্যাট ও বলের ছবি দিয়ে লোগো তৈরি করে জমা দিতে পারবেন। বাছাইকৃত পাঁচজন নিয়ে ডিনার করবেন মুশফিক। সেরা বিজয়ী পাবেন তার অটোগ্রাফযুক্ত জার্সি। এ ব্যাপারে ফেসবুক লাইভে মুশফিক বলেন, ‘এখন সময় আপনাদেরকে প্রতিদান দেওয়ার। সেজন্যই কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে, আমার স্বপ্নের এমআর ১৫ ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা। আপনারা খুশি হবেন, খুব শিগগিরই আমি এটি শুরু করতে যাচ্ছি।’
মুশফিক লোগো ডিজাইনের প্রতিযোগিতা আয়োজনের ঘোষণাও দিয়েছেন, ‘এমআর ১৫ ফাউন্ডেশনের জন্য লোগো ডিজাইন করে পাঠিয়ে দিন। আমি সেরা পাঁচজনকে বাছাই করব। তারা আমার সঙ্গে ঢাকার কোনো ফাইভ স্টার হোটেলে ডিনার করার সুযোগ পাবেন এবং অবশ্যই করোনা পরিস্থিতি ঠিক হয়ে গেলে। পাঁচজনের মধ্যে যিনি সেরা হবেন তিনি পাবেন আমার অটোগ্রাফসহ একটি জার্সি। সেই লোগোই ব্যবহার করা হবে আমার ফাউন্ডেশনে ও সোশাল মিডিয়ার সব প্ল্যাটফর্মে।’
Discussion about this post