তার বয়স মাত্র ৩৩। এই বয়সে অনেকেই খেলা চালিয়ে যায়। অভিজ্ঞতা দিয়ে আদায় করে নেয় সাফল্য। কিন্তু সেই পথে না হেঁটে নতুন ক্যারিয়ার শুরু করলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সাজেদুল ইসলাম। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৩ টেস্ট ও ১ টি-টুয়েন্টি খেলা এই ক্রিকেটার হয়ে গেলেন আম্পায়ার।
বুধবার আম্পায়ারিং অভিষেক সাজেদুলের। অথচ এই বছরের মার্চেও তিনি ছিলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার। ২০১৯ সালেও খেলেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে।
সাভারের বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) চলমান শেখ কামাল অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সিলেট ও বরিশালের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো পেশাদার ক্রিকেটে আম্পায়রিং করলেন সাজেদুল। সাবেক বাঁহাতি স্পিনার এনামুল হকের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে আম্পায়ারিং পেশায় এসেছেন তিনি।
সাজেদুল বাংলাদেশ দলে প্রথম খেলেন ২০০৮ সালে। নিউজিল্যান্ডের ডুনেডিনে স্বাগতিক কিউইদের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ক্যাপ পান। যদিও ৩ টেস্টেই থমকে যায় তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। যেখানে ব্যাট হাতে ১৮ রানের সঙ্গে বোলিংয়ে নেন ৩ উইকেট।
২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টিতে অভিষেক হয় সাজেদুলের। এরপর আর এই ফরম্যাটে দেখা যায়নি তাকে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেন ৯৯ ম্যাচ। ২৮.৩৫ গড়ে ২৪১ উইকেট নেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৫৫ ম্যাচে ৬৭ উইকেট। ৭টি টি-টুয়েন্টি খেলে তুলেছেন ৭ উইকেট।
তিনি বিকেএসপির সাবেক ছাত্র। সেখান থেকেই এবার নতুন যাত্রা। এনামুল হক মণির পর দেশ আরেক টেস্ট ক্রিকেটার এলেন আম্পায়ারিংয়ে।
Discussion about this post