বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠনের পরপরই বদলে গেল এক মনোনয়ন। গতকাল সোমবারের নির্বাচনের পর ব্যবসায়ী ইসফাক আহসান ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত দুই পরিচালকের একজন। কিন্তু রাতে হঠাৎই আসে নতুন নির্দেশ-এনএসসি ইসফাক আহসানের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়।
কারণ হিসেবে জানা যায়, তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আপত্তি তোলে সংশ্লিষ্ট মহল। ফলে পরদিন মঙ্গলবার নতুন মুখ হিসেবে বোর্ডে যোগ হয় রুবাবা দৌলার নাম। এনএসসির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকেই বিসিবির নতুন পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
করপোরেট জগতের পরিচিত নাম রুবাবা দৌলা বর্তমানে ওরাকল বাংলাদেশ–নেপাল–ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর। এর আগে তিনি কাজ করেছেন দেশের দুটি বড় টেলিকম ব্র্যান্ড-গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলের শীর্ষ পদে। তবে তার পরিচয় শুধু করপোরেট সীমায় সীমাবদ্ধ নয়; দীর্ঘদিন ধরে তিনি যুক্ত আছেন দেশের ক্রীড়া অঙ্গনের সঙ্গেও।
২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রুবাবা দৌলা ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতি, পাশাপাশি বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকসের বোর্ড সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন। নারী ক্রীড়ার বিকাশে তাঁ ভূমিকা ছিল দৃশ্যমান।
ক্রিকেটের সঙ্গেও তার সম্পর্ক পুরোনো। গ্রামীণফোনে কাজ করার সময় তিনি সরাসরি যুক্ত ছিলেন দেশের ক্রিকেটের পৃষ্ঠপোষক কার্যক্রমের সঙ্গে। বিশেষ করে ২০০৭ সালে গ্রামীণফোন ও বিসিবির যৌথ উদ্যোগে মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি স্থাপনের পেছনে অন্যতম ভূমিকা ছিল তাঁরই।
বিসিবির নতুন পরিচালনা পর্ষদে রুবাবা দৌলাকে নারী ক্রিকেট উইংয়ের দায়িত্বে দেখা যেতে পারে। তার করপোরেট নেতৃত্ব ও নারী ক্রীড়া সংগঠনে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা বিসিবির নতুন বোর্ডে একটি আধুনিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ভাবনা যোগ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বোর্ড কর্মকর্তারা।
Discussion about this post