সংবাদ সম্মেলন গরম করে ফেললেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। সাফ জানিয়ে দিলেন-এশিয়া কাপের দল গঠনে তার সঙ্গে কোন পরামর্শ করেননি নির্বাচকরা। দলে বেশ কয়েকটি বদল এনে শনিবার রাতে নির্বাচকরা এশিয়া কাপের ১৫ জনের নাম ঘোষণা করেন। এই টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকের সামনে প্রশ্ন গেল-কেমন দল হয়েছে? এর জবাবে মুশফিক রোববার যা বললেন সেটা শুনে নিশ্চিতভাবে নির্বাচকদের ভাল লাগার কথা নয়। মুশফিক জানালেন-‘বারবার দলে বদল আনলে সেটা ভাল হয় না। নির্বাচক ও অধিনায়ক একসঙ্গে বসে দল বাছাই করলে ভাল হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা তাহলে খেলতে পারি। এভাবে বারবার দলে পরিবর্তন আনলে খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগতভাবে চিন্তিত হয়ে পড়ে। আর নিয়মিতভাবে দলে থাকলে বড় একটা কিছু করার তাগিদ অনুভব করে।’
মুশফিকের এই মন্তব্য জানাচ্ছে-এবারের টুর্নামেন্টের দল গঠন নিয়ে নির্বাচকরা তার সঙ্গে আলোচনা করেননি। অথচ প্রচলিত নিয়মটা হল-দল গঠনের সঙ্গে অধিনায়কের মতামতেরও একটা বড় ভুমিকা থাকে। কেননা মাঠে দল নিয়ে তো খেলতে হয় অধিনায়ককেই। নির্বাচকরা তো আর সরাসরি মাঠে খেলেন না। তাছাড়া দল ব্যর্থ হলে সেই ব্যর্থতার তাৎক্ষনিক ব্যাখাও দিতে হয় অধিনায়ককে। তাই দল নির্বাচনে অতি অবশ্যই অধিনায়কের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হয়। তবে এবার সেই ‘ধারা’ পালন করলেন না নির্বাচকরা।
এশিয়া কাপে শুরুতেই বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে ভারতকে। আগামী ২৬ ফেব্র“য়ারি ফতুল্লায় বাংলাদেশ-ভারত মুখোমুখি হবে। ১ মার্চ একই মাঠে বাংলাদেশ লড়বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ৪ মার্চ মিরপুরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। এই তিন প্রতিপক্ষকেই মুশফিক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন। আফগানিস্তান এই প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে খেলছে। ১ মার্চের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবে বাংলাদেশকেই হিসেবে রাখা হচ্ছে। তবে মুশফিক আফগানিস্তানকে নিয়েও সতর্কিত-‘আফগানিস্তানের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আমাদের এখানে লিগ খেলেছে। এখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে তাদের বেশ ভাল জানা আছে। তবে আমরা আমাদের তিন প্রতিপক্ষকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি।’
মুশফিকের এই প্রথম চ্যালেঞ্জ শুরু হচ্ছে ২৬ ফেব্র“য়ারি। প্রতিপক্ষ ভারত। ছোট্ট করে জানিয়ে দেই-গতবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে জয়ী দলের নাম কিন্তু বাংলাদেশ!
Discussion about this post