ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
শনিবার রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। এরপরই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি। কথা বলেন নানা প্রসঙ্গে। এসেছে শ্রীলঙ্কা সফরে প্রথম টেস্টে ব্যাটিংয়ে সফলতার কথাও। গত নিউজিল্যান্ড সফরে দলের সঙ্গী হন পরিচালক জালাল ইউনুস। এবার শ্রীলঙ্কা সফরে গেছেন আরেক পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। ব্যাপারটায় খুশি পাপন।
চলুন দেখে নেই সংবাদ সম্মেলনে কী বললেন বিসিবি সভাপতি।
খালেদ মাহমুদ সুজন দলের সঙ্গে আছেন। দলও সাফল্য পাচ্ছে…
এবার যেটা হচ্ছে, অন্তত জানি। একাদশ কী হচ্ছে, টসে জিতে বোলিং নিবে নাকি ব্যাটিং, এই জিনিসগুলো জানি। আগে যেটা ছিল, এই জিনিসগুলো জানতামই না। জানলে যেটা হয়, আমার যদি কিছু বলার থাকে, বলতে পারি। সেদিক থেকে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। অবশ্যই খালেদ মাহমুদ সেখানে থাকাতে আমার মনে হয় টিমের মধ্যে আরও স্পিরিটেড হওয়া উচিত। হওয়ার মতোই একজন, সবসময়ই দলকে উজ্জ্বীবিত করার চেষ্টা করে সে।। ওই দিক থেকে চিন্তা করলে ঠিক আছে। এবং ইন ফ্যাক্ট আমার কাছে ভালো লেগেছে অন্য জিনিস। নিউজিল্যান্ড সিরিজটা যদি দেখি আমরা। যদি কোউ জিজ্ঞেন করে, ওই সিরিজে হারার পরও কার খেলা ভালো লেগেছে। অবশ্যই আমি বলব নাঈম শেখ, আফিফ, শেখ মাহাদী, শরিফুল, তাসকিন। তাহলে দেখেন এতগুলো ছেলের মধ্যে যাদের নাম বলছি একমাত্র তাসকিন পুরনো ছাড়া সবাই কিন্তু নতুন।
শ্রীলঙ্কায় ব্যাটসম্যানদের সাফল্য…
এখানেও যদি শ্রীলঙ্কা টেস্ট দেখেন, আমি যদি বলি সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স কার, অবশ্যই সবাই বলবে আমাদের শান্ত। এই যে আমাদের ইয়াং জেনারেশন, নতুন ছেলেরা সুযোগ পাচ্ছে। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, ওরা কিন্তু নিউজিল্যান্ড যারা খেলতে গেছে, এটা তাদের প্রথমবার, কখনো ওই রকম কন্ডিশনে খেলেই নাই ওরা। জাতীয় দলে তো সুযোগই পায় নাই, যাইও নাই। এই যে তারা খেলছে, তাদের যে খেলা তাতে আমার মনে হয় ভবিষ্যৎটা ভালো। আমরা মন খারাপ করে ফেলি হারল কেন। হারার পেছনে আমি আগেও বলেছি অনেকগুলো কারণ আছে। অবশ্যই স্ট্র্যাটেজিক জিনিসগুলো আমাদের মতো করে হয় নাই, মানে আমরা যেরকম করে খেলে আসছি আগে, সেরকম ছিল না। স্ট্র্যাটেজির অবশ্যই প্রবলেম ছিল এবং একটা কমিউনিকেশন গ্যাপ ছিল। কিন্তু তারপরও আমি বলব ওয়েস্ট ইন্ডিজের কথা যদি বলি, আফগানিস্তান নিয়ে কোনো কথাই বলতে চাই না, ওটা আমি আপনাদের সঙ্গে একমত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে যদি দেখেন, আমরা ওদের দেশে গিয়ে ওদের সঙ্গে ওডিআই-টি-টোয়েন্টি জিতে আসলাম, ত্রিদেশীয় কাপ ওদের সঙ্গে খেলে কাপ জিতলাম, বিশ্বকাপে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান চেজ করে জিতে আসলাম, এখানেও আমরা ওয়ানডেতে ৩-০ জিতলাম। টেস্টে গিয়ে আমরা হেরে গেলাম। টেস্টে আমরা অবশ্যই উইক। আমরা তো কখনো বলিনি আমরা টেস্টে ভালো, হওয়ার কথা ছিল।
পাইপলাইন ঠিক হবে….
২০১৯ এ আপনাদের যেটা বলেছি, এখন আমরা টেস্টে মনোযোগ দিবো। ২০১৮তে বলেছিলাম নতুন জেনারেশন, সেকেন্ড টাইম এসেই বলেছি আমি আমাদের ভবিষ্যৎ, পাইপ লাইন ঠিক করব। আন্ডার নাইন্টিন বিশ্বকাপ এবং এইজ লেভেলের খেলা দেখছেন। অবশ্যই আমাদের পাইপ লাইন এখন ভালো। অবশ্যই এখন আমাদের লক্ষ্য কীভাবে টেস্টে ভালো করা যায়। গত প্রায় দেড় বছর কোভিডের জন্য উলোট পালট হয়ে গেল। যা যা প্রোগ্রাম করেছি, কিছুই করতে পারি নাই। কিন্তু আমি হতাশ না। আমাদের যা পটেনশিয়াল আছে, অবশ্যই আমাদের ভালো না করার কোনো কারণ নাই। কোভিড সিচুয়েশনটা একটু ভালো হলে আমরা ভালো করব।
দলে পরিবর্তন প্রসঙ্গে…
এটা খুব কঠিন, কিছু করতে পারতেছি না। যা প্ল্যান ছিল ডেভেলপমেন্টের, সেটা তো হচ্ছে না কোভিডের না। এটা অনেকেরই হচ্ছে, শুধু একা বাংলাদেশের না। আমি যেটা আপনাদের বলছি, জেতার পর বেশি খুশি হওয়ার কিছু নাই,হেরে গেলে বেশি কষ্ট পাওয়ার কিছু নাই। হারলে তো কষ্ট লাগবেই, আমরা চাই বাংলাদেশ সবগুলো ম্যাচে জিতুক, কিন্তু আমরা এত বেশি বলি, অনেক সময় এটা টিমের ওপর ইফেক্ট ফেলে। আপনাদেরকে আমি একটা জিনিস নিশ্চিত করে বলতে পারি যে আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি। আমরা এমন কোনো দল নাই, যাদের হারাতে পারি না, তাই বলে আমরা কিন্তু বেস্ট দল না। কেউ যদি মনে করে আমরা মনে করছি আমরা বেস্ট দল, না, প্রশ্নই উঠে না। কিন্তু আমাদের সে পটেনশিয়াল আছে, সেটা ধারাবাহিক করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের পাইপলাইনে যে প্লেয়ার আছে, নতুন খেলোয়াড় আছে, ওদের খেলা দেখি আমি সত্যিই আশাবাদী ওই দিন আর বেশি দূরে না যেখানে নাকি আমাদের টার্গেট, প্রথম পাঁচটা দলের মধ্যে থাকব, সেটা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
Discussion about this post