ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ভিন্ন এক আবহে এসেছে ঈদ উল ফিতর। করোনা সংক্রমণের কারণে আগের সেই আনন্দ যেন কোথায় হারিয়ে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলেও। এবার ঘরবন্দি থাকতে হচ্ছে জাতীয় দলের ক্রিকেটােদের। বিসিবি স্পষ্ট নির্দেশা দিয়েছে বাড়িতে ফিরেও আগের মতো ঘুরে বেড়াতে পারবে না। শ্রীলঙ্কা থেকে দেশে ফিরে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন অবশ্য করা লাগেনি। সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ কমিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। এ অবস্থায় ঈদে ছুটি পেলেও খেলোয়াড়দের অবাধ বিচরণে কিছু বাধ্যবাধকতা দিয়েছে বিসিবি। বোর্ডের মেডিক্যাল বিভাগ থেকে সবাইকে নিজ নিজ বাসায় থাকার কথা বলা হয়েছে।
এ অবস্থায় এসেছে রোজার ঈদ। এবার বেশিরভাগই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করছেন রাজধানী ঢাকায়। ইচ্ছা থাকার পরও অনেকে বাড়ি যেতে পারেননি। কারণ ঈদ শেষে ১৬ মে থেকে ফের শুরু অনুশীলন। সেদিনই চলে আসবে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দল। এরপর ২৩ মে থেকে শুরু ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ।
এ অবস্থায় ঈদ পালন করছেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ঈদে থাকবেন ঢাকায়। ঢাকায় মুশফিকুর রহিম বাবা-মার সঙ্গে ঈদ কাটাতে গেলেন বগুড়ায়। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক হোসেন আছেন ময়মনসিংহে। এটা তো সবারই জানা, সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান কোয়ারেন্টাইনে আছেন ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেল।
এছাড়া মোহাম্মদ মিথুন, তাসকিন আহমেদ, আফিফ হোসেন আর ইমরুল কায়েস আছেন ঢাকাতে। তবে রুবেল হোসেন, শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুমিনুল হক চলে গেছেন বাড়িতে।
সেটা যাই হোক, বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘আমরা সব ক্রিকেটারকে নির্দেশ দিয়েছি যেন ছুটির সময় তারা সতর্ক থাকেন। চলাফেরা, সামাজিকতা; প্রতিটি ক্ষেত্রেই তা তাদের মেনে চলতে বলা হয়েছে, যেহেতু ঈদের পরই সিরিজ। আমাদের মেডিক্যাল বিভাগ থেকে তাদের বলা হয়েছে, যেন জনসমাগমে একদমই না যান তারা।’
এদিকে এবারের ঈদ নিয়ে তাসকিন বলেন, ‘করোনার মধ্যে এ নিয়ে আমাদের তৃতীয় ঈদ। নতুন বাস্তবতার ঈদ, আমার মনে হয় সবারই জানা কী করতে হবে, কীভাবে সুস্থ থাকতে হবে। এখন যা করণীয় তা মেনে ঈদ করাই হবে আমাদের সবার দায়িত্ব।’ ক্রিকেটার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন বলেন, ‘দেখুন করোনা কালের ঈদে বাসাতেই থাকব। বাসাতেই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেব। ছাদে সবার সঙ্গে সময় কাটাব। আমাদের আবার জৈব সুরক্ষাবলয়ে যেতে হবে শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য, সেটা ঈদের পরেই। সতর্কও থাকতে হবে।’
সব মিলিয়ে সতর্ক থেকেই এবারের ঈদ পালন করছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।
Discussion about this post