শিরোপা লড়াই থেকে কিছুটা পিছিয়ে ছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। জয় ছাড়া কোন বিকল্পই ছিল না! এমন একটা ম্যাচে সমীকরণ মিলল না! বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে হেরে গেলো লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। মাশরাফি বিন মর্তুজার দলকে হারিয়ে আবাহনীর সঙ্গে শিরোপা লড়াই জমিয়ে তুলল তারা।
ঢিাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের শেষ প্রান্তে এসে ১৫ ম্যাচে আবাহনী-শেখ জামাল দুই দলেরই পয়েন্টে ২৬। শনিবার শেষ রাউন্ডে আবাহনী ও শেখ জামাল লড়বে। সেই ম্যাচে যারা জিতবে লিগ ট্রফি তাদেরই।
বুধবার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সৈকত আলীর সেঞ্চুরি ও নুরুল হাসান সোহান, জিয়াউর রহমান, পারভেজ রাসুলের হাফ সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেট হারিয়ে শেখ জামাল তুলে ৩৫০ রান। জবাবে ওপেনারের ভূমিকায় নামেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। যদিও দ্রুত ফেরেন মাশরাফি। তারপর সোহাগ গাজীকে নিয়ে পারভেজ হোসেন ইমন ৪৯ রানের জুটি গড়েন। সোহাগ ১৪ বলে ২৩ রানে ফেরেন।
এরপর ইমনকে নিয়ে ইরফান শুক্কুর গড়েন ৭৭ রানের জুটি। ইমন ৬৫ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৩ রানে ফিরলে চাপে পড়ে লিজেন্ডসরা। তবে লড়ে গেছেন ইরফান। ১১১ বলে ১১ চারে ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৪৬.১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রানে আটকে যায় মাশরাফির দল। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৫৯ রানের জয় তুলে নেয় শেখ জামাল। আলোকস্বল্পতায় পুরো ওভার ব্যাট করতে পারেনি লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ইরফান শুক্কুরের শতরানে তারা ৪৬.১ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫৫ রান করার পর খেলা বন্ধ হয়। এরপরই জয়ী ঘোষণা করা হয় শেখ জামালকে।
পারভেজ তিন উইকেট নেন। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সৈকত আলী ও সোহান দারুণ লড়েন। দুজন মিলে ১১১ রানের জুটি গড়েন। ৮১ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৮ রানে ফেরেন সৈকত। সোহান ৭৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৬২। রবিউল খেলেন ৫০ বলে ৪২। জিয়াউর ৪২ বলে ৬৪ এবং পারভেজ ২৫ বলে ৫১ রান করেন।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বোলারদের মধ্যে চিরাগ জানি ও জাওয়াদ রায়েন নেন দুটি করে উইকেট। নাঈম ইসলাম জুনিয়র তুলেন একটি উইকেট। প্রিমিয়ার লিগে ১৫ ম্যাচ খেলে লিজেন্ডসদের পয়েন্ট ১৮।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: ৫০ ওভারে ৩৫০/৫ (সাইফ ১৮, সৈকত ১০৮, ফজলে ০, সোহান ৬২, রবিউল ৪২, জিয়া ৬৪, রসুল ৫১; চিরাগ ১০-০-৫২-২, হালিম ৪-০-৪৪-০, নাইম ১০-০-৬২-১, জাওয়াদ ১০-০-৭৪-২, মাশরাফি ৫-০-৫৭-০, তানবীর ১০-০-৫২-০, মুক্তার ১-০-৯-০)
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৪৬.১ ওভারে ২৫৫/৭ (মাশরাফি ৩, পারভেজ ৬৩, সোহাগ ২৩, ইরফান ১০০, চিরাগ ১, তানবীর ১৪, আশিক ৭, জাওয়াদ ১৮, মুক্তার ১৭; শফিকুল ৪-০-২৫-০, রসুল ১০-০-৩৬-৩, রবিউল ৪-০-৪৫-০, সাইফ ১০-০-৪১-১, আরিফ ১০-০-৫৮-২, শহিদুল ৪.১-০-২৭-১, তাইবুর ৪-০-২২-০)
ফল: ডাকওয়ার্থ লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৫৯ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: সৈকত আলি
Discussion about this post