ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
তার বিপক্ষে ব্যাট করতে যেন ভুলেই গিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা। রীতিমতো অসহায় হয়ে সামাল দিয়েছেন একের পর এক ডেলিভারি। আর এভাবেই ৪ ওভারে মাত্র এক রান দিলেন মোহাম্মদ ইরফান। বোলিং ফিগার বিস্ময়কর ৪-৩-১-২! তারই পথ ধরে গড়লেন এক বিশ্বরেকর্ড!
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) পাকিস্তানের এই পেসার ইতিহাসই গড়লেন। টি-টুয়েন্টিতে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ড গড়লেন তিনি।
রেকর্ড গড়া বোলিং করেও অবশ্য ইরফান জেতাতে পারেনি বারবাডোজ ট্রাইডেন্টসকে। বরং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস জিতেে। বাংলাদেশ সময় রোববার সিপিএলের ম্যাচে বারবাডোজকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে সেন্ট কিটস।
তবে ম্যাচটাতে কোনভাবেই অবদান রাখার সুযোগ পাননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটিং-বোলিং কিছুই পাননি এই টাইগার অলরাউন্ডার। তারপরও জয় তুলে নেয় ক্রিস গেইলের দল। ৫ ম্যাচে তিন জয়ে শীর্ষে এখন রিয়াদের সেন্ট কিটস।
ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বারবাডোজের পক্ষে ডোয়াইন স্মিথ (২৭ বলে ২০) ও মার্টিন গাপটিল (১৯ বলে ১৯) দেখে শুনে খেলেন। জেসন হোল্ডার এরপর করেন ৩৫ বলে ৫৪ রান। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে দল তুলে ১৪৭ রান।
তারপর বল হাতে ম্যাজিক দেখান দীর্ঘদেহী ইরফান। শুরুতেই সাজঘরে পাঠান ক্রিস গেইলকে। এভিন লুইসকেও আউট করেন তিনি। প্রথম ওভারে মেডেন উইকেট। দ্বিতীয় ওভারেও রান দেননি ইরফান। এমন কী চতুর্থ ওভারের প্রথম পাঁচ বল পর্যন্ত রান দেননি ইরফান। শেষ পর্যন্ত চার ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে টি-টুয়েন্টিতে গড়েন কিপটে বোলিংয়ের বিশ্বরেকর্ড।
টি-টুয়েন্টিতে পুরো ৪ ওভার বোলিং করে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের আগের রেকর্ড ছিল ক্রিস মরিস ও চানাকা ভেলেগেদারার। ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার র্যাম স্ল্যাম চ্যালেঞ্জে হাইভেল্ড লায়ন্সের হয়ে ৪ ওভারে ২ রান দিয়েছিলেন মরিস। ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ৪ ওভারে ২ রান দেন তামিল ইউনিয়নের খেলোয়াড় ভেলেগেদারা।
ইরফান অবশ্য হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারেন নি। সতীর্থরা বল হাতে ব্যর্থ ছিল। আর সেন্ট কিটসের ব্রেন্ডন কিং ৪৯ বলে তুলেন ৬০ রান। ডেভন টমাসের ব্যাটে ২৯ বলে ৩২। বেন কাটিং ২১ বলে ২৯ রান। আর ১৮.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে সেন্ট কিটস পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে।
Discussion about this post